পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ २१७ এই বিবাহ সম্বন্ধ ভাঙ্গিবার জন্য বার বার প্ররোচনা দিতেছেন। তঁহার সহিত বিজয়ার মনের সম্পূর্ণ মিল, কিন্তু এ বিষয়ে তিনি জ্যেষ্ঠের অবাধ্য হইয়া কাজ করিতে সাহসী হইতেছেন না। ওদিকে তঁহার মনের অনুশোচনা ও আত্মনিন্দার মধ্যে বিবাহের দিন ঘনাইয়া আসিতেছে। বিবাহ একপ্রকার স্থির হইয়া গেলে এই প্রশ্ন উঠিল, কোথায় বিবাহ হইবে ? নিশিপুরের বাড়ীতে, কি কলিকাতায় বিন্ধ্যবাসিনীর পিত্ৰালয়ে ? মেদিনীপুরে বিজয়ার মধ্যম দেবরের মত জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠাইলে, তিনি লিখিলেন, যে র্তাহার প্রথম কন্যাটীরও বিবাহ শীঘ্ৰ দিতে হইবে, তিনি একটা উপযুক্ত পাত্র হাতে পাইয়াছেন, আর বিলম্ব করিতে পারিতেছেন না ; সুতরাং নিজ কন্যার আট বৎসরেই বিবাহ দিতেছেন। মাঘ মাসে একদিনে বিবাহের দুইটা লগ্ন আছে ; ঐ দিনে দুই কন্যারই বিবাহ দেওয়া হইবে ; তাহা হইলে ব্যয়ের অনেক সুবিধা হইবে। তর্কভূষণ মহাশয় এ প্রস্তাবে সন্মতি প্ৰকাশ করিয়াছেন। তদনুসারে কলিকাতার বাড়ীতে বিবাহ দেওয়াই স্থির হইয়াছে । ১২ই মাঘ বিবাহের । দিন । বিজয়ার মধ্যম দেবার লিখিয়াছেন, যে তিনি সে সময়ে ছুটী লইয়া আসিবেন । বিজয়া এক মাস পূৰ্ব্ব হইতেই কলিকাতার বাসাতে ছোট দেববের নিকটে গিয়া রহিলেন ; ও কন্যাদ্বয়ের বিবাহের আয়োজন করিতে প্লাগিলেন। তর্কভূষণ মহাশয় বিন্ধ্য বাসিনীর বিবাহেব ব্যয়ের সাহাযার্থে গোপনে বিজয়ার নিকটে ১৫০ দেড় শত টাকা প্রেরণ করিলেন। অবশিষ্ট দেবরের দিবেন। বিজয়ী দেবারদিগের বাড়ীতে আসিয়া অবস্থিত করা অবধি পঞ্চ ও গোবিন্দ প্ৰায় প্ৰতিদিন আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া থাকেন। এই বিবাহটা হইতেছে বলিয়া পধু অতিশয় দুঃখিত। তিনি বিজয়ার নিকটে সর্বদাই দুঃখ প্ৰকাশ করেন। বিজয়ার বলিবার কিছু নাই,