পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ Rbro কষ্টে দিন কাটাইয়াছে, সমুদায় বিবরণ জননীর কর্ণগোচর করিল। ভুবনেশ্বরীকে সাজা দিবার এই আর একটা কারণ যুটিল। ১৮৫৩ সালে পূজার সময় ভুবনেশ্বরী। পিত্ৰালয়ে যাওয়ার পর রামরতন মুখুয্যে মহাশয়ের পরিবার মধ্যে যে যে পরিবর্তন ঘটিয়াছি, তাহার কঞ্চিৎ বিবরণ দেওয়া আবশ্যক। মুখুয্যে মহাশয়ের প্রথম দুই পুত্র, রাজেন্দ্র ও ব্ৰজেন্দ্র, ঐ বৎসর পূজার সময়ে বাড়ীতে আসিয়া পাড়ায় সমবয়স্ক একজন বন্ধুর সঙ্গে এই পরামর্শ করিল, যে পূজার পরেই তিনজনে সমানাংশে উলের বাজারে উচ্চাদরে একখানা মনিহারির দোকান খুলবে । তাহাতে কাগজ, কলম, বই, গ্লাস, ল্যাম্প, এমন কি চীনের বাড়ীর জুতা পৰ্যন্ত থাকিবে । জ্ঞানেন্দ্র ও সেই বন্ধুটী দুজনে দোকান দেখিবো। টাকা পয়সা সমুদায় সেই বন্ধুটার হাতে থাকিবে, জ্ঞানেন্দ্ৰ শুধু বসিয়া থাকবে ও খরিদদারকে বেচিবে । তদনুসারে পূজার পরেই কলিকাতা হইতে সমুদায় জিনিষপত্ৰ আসিল ; এবং সথাসময়ে দোকান খোলা হইল। জ্ঞানেন্দ্ৰ প্ৰাতে উঠিয়াই দোকানো যায়, একবার দুপুরবেলা আহার করতে আসে, আবার আহারান্তে বৈকালে দোকানো যায়, পরে রাত্ৰি প্ৰায় ৯টার नgन चgद्र यानि । কয়েক মাসের মধ্যেই দেখা গেল যে এই দোকানটি জ্ঞানেন্দ্রকে একেবারে পাপ-সাগরে নিমগ্ন করিবার উপায় স্বরূপ হইল। একেই তাহার স্বভাব্যচরিত্র ভাল ছিল না, তাহাতে সে আবার প্রলোভনজালের মধ্যে গিয়া পড়িল । দোকানে দিন রাত্র থাকাতে বাজারের কতকগুলি দুশ্চরিত্র যুবকের সঙ্গে তাহার পরিচয় ও বন্ধুত হইল। সে তাহদের সঙ্গে মিশিয়া তামাক হইতে চরশ, চরশ হইতে গাজাতে প্রমোশন পাইল ; তাস খেলাতে উত্তষ পরিপাক হইয়া উঠিল। ৰাজারের পাশ্ববৰ্ত্তী একটা স্ত্রীলোকের ভৰনে এই তাসের আভাডা হুইত । সুতরাং জ্ঞানেন্দ্রের