পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०१ বিংশ পরিচ্ছেদ ১৮৫৭ সালের পূজাও নশিপুরের বাড়ীতে মহা সমারোছে সম্পন্ন । হইল। ভুবনেশ্বরী যে ভাবে পিত্রাণীয়ে উপস্থিত হইয়াছিল, তাহা দেখিয়া তর্কভূষণ মহাশয়ের অন্তরে যে কি ক্লেশ হইয়াছে, তাহার বর্ণনা ? নিম্প্রয়োজন ; তাহ সহজেই অনুমান করিতে পারা যায়। ভুবন যখন কলিকাতা হইতে নশিপুরের বাড়ীতে উপস্থিত হইল, তখন তাহার আকৃতি দেখিয়া ও তাহার মুখে তাহার যাতনার সমুদায় বিবরণ শুনিয়া সেই ধীর গম্ভীর বৃদ্ধেরও চক্ষে জল পড়িয়াছিল। যাহা হউক ভুবন । যে বঁচিয়া আসিয়াছে এজন্য তিনি ঈশ্বরকে যথেষ্ট ধন্যবাদ করিলেন। সুতরাং দুই মাস পরে যখন শুনিলেন যে জ্ঞানেন্দ্রের পিতামাতা তাহদের । প্ৰতি ক্ৰোধ করিয়া পুত্রের আবার একটী বিবাহ দিয়াছে, তখন তিনি । বিশেষ দুঃখ প্ৰকাশ করিলেন না । বললেন, “যাক আপদ গেল । কুলীনের কন্যারা ত চিরজীবন পিত্ৰালয়েই থাকে, হিন্দুর ঘরের বিধবারা। ত চিরজীবন ব্রহ্মচৰ্য্য করে, ভুবন না হয় তাই করিবে।” ভুবনের জন্য তাহার প্রাণে যেমন একটু ক্লেশ থাকিল, তেমনি একটা সুখের সংবাদপাইয়া একটু সুখ ও হইল। পূজার পূর্বেই বারাণসী হইতে সংবাদ । আসিল, যে গৌরীপতি বেদবেদান্তে পারদর্শী হইয়া সম্মানসূচক উপাধি প্ৰাপ্ত হইয়াছেন ; তঁহার যশঃসৌরভে কাশীধাম আমোদিত হইয়াছে; } তিনি তথাকার পণ্ডিতমণ্ডলীর মধ্যে সৰ্ব্বা গ্রগণ্য ব্যক্তি হইয়াছেন, এবং কাশীরাজ তঁহাকে নিজ সভাপণ্ডিতের পদে বরণ করিয়াছেন। હારે ગરtt': তর্কভূষণ । মহাশয়কে অতিশয় সুখী করিল। অনেকফিশন হইতে র্তাহার মনে শেষ দশাটা কণীতে যাপন করিবার ইচ্ছা!