পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ R (: মুখ প্ৰক্ষালন করিয়া বসিবামাত্র বিজয়া ভঁাহার শয়নগৃহে উপস্থিত হইলেন । তর্কভূ। কি বিজয়া, কোনও কথা আছে নাকি ? বিজয় । ই আছে । তর্কভু। কি কথা। s বিজয়া। তুমি যে আমাকে এখানে থাকতে বলছে, সে বিষয়ে একটা কথা আছে। বিন্দু কলকেতার মেয়ে স্কুলে পড়ে। র্তার বড় সাধ ছিল বিন্দুকে ভাল ক’রে লেখাপড়া শেখাবেন ; মরুবার সময়ে আমাকেও অনুরোধ ক’রে গেছেন ; এখানে থাকলে ত বিন্দুর পড়াশুনা বন্ধ হবে । তর্কভূ। ( একটু বিরক্ত স্বরে ) তোমাদের ঐ গুলোই ত আমি ভালবাসি না । নন্দকিশোর সৎ লোক ছিল বটে, কিন্তু সকল কাজে একটু বাড়াবাড়ি ছিল। তার ফল দেখ, ভাই দুটোর কি দশা ঘটেছে। মেয়েছেলের লেখাপড়ার জন্য এত ব্যস্ততা কেন ? আর পড়বেই বা কত দিন ? দশ বৎসর না হতেই ত শ্বশুর ঘরে পাঠাতে হবে । এদেশে ত কোনও দিন মেয়েছেলের লেখাপড়ার প্রথা নাই ; সংসারের কোন কাজটা আটকে আছে ? বিজয়। তোমার কাছে আমার প্রাচীনকালের কথা বলা শোভা পায় না। শুনেছি সেকালে নাকি মেয়েরা লেখাপড়া শিখতেন এবং জ্ঞানীদের সঙ্গে শাস্ত্রালাপ কৰ্খতেন? আর শাস্ত্ৰেও নাকি স্ত্রীলোকের বিদ্যাশিক্ষাতে নিষেধ নাই। কুঁড়ি । তর্কভূষণ মহাশয় অতিশয় সদাশয় ব্যক্তি ; যে একটু উষ্ণতা আসিয়াছিল, ভগিনীর পবিত্র ও সরলতাপূর্ণ মুখের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াই তাহা অন্তৰ্হিত হইয়াছে। পুনরায় ধীরভাবে বলিলেন,-“হী তুমি যা শুনেছ