পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O Ve যুগান্তর রাঙ্গা মারি সংবাদ লইবার জন্য তাহাকে চিঠিপত্র লিখিয়া খুাকেন। তদুত্তরে বৃদ্ধ অনেক ভালবাসা ও আশীৰ্ব্বাদ জানাইয়া থাকেন। ফাস্তুনের শেষে নবীনচন্দ্ৰ চিন্তা করিলেন যে, বাসন্তী পূজার সময় তাহার জ্যেষ্ঠতাতের অনেক চাউল খরচ হয়। কলিকাতাতে চাউলের মূল্য অধিক ; ফরিদপুর হইতে কিনিয়া পাঠাইতে পারিলে ভাল হয়। এই ভাবিয়া একেবারে তঁহার জ্যেষ্ঠ তাতের বাড়ীর সম্বৎসর খরচের মত ও বাসস্তী পূজার ব্যয়ের মত চাউল খরিদ করিয়া একটা চলিত নৌকাযোগে কলিকাতায় প্রেরণ করলেন ; ও তৎসঙ্গে নিম্নলিখিত পত্ৰ লিখিলেন :- শ্ৰীচরণে অসংখ্য প্ৰণতিপূর্বক নিবেদন— আমরা বাল্যকালে পিতাকে হারা হয় তাহার স্নেহ অধিক দিন লাভ করি নাই । আপনিই আমাদের পিতা । আপনারই ক্ৰোড়ে আমরা পালিত পালিত হইয়াছি। আমরা অতি অধম, আপনার পিতৃস্নেহের উপযুক্ত কাজ কিছু করি নাই, করিতে যে পারিব সে আশাও নাই । এবারে এদিকে চাউল অতিশয় শস্ত হইয়াছে। বাসন্তী পুজার সময়ে আপনার অনেক চাউল ব্যয় হয়, ভাবিয়া, কিঞ্চিৎ চাউল খরিদ করিয়া পাঠাইলাম। ইহাতে বাসস্তী পূজার ব্যয় হইয়া বাড়ীর সম্বৎসরের ব্যয় চলিবে । চাউলগুলি গ্ৰহণ করিয়া আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিবেন, যেন আমার ঈশ্বর-চরণে সৰ্ব্বদা মতি থাকে। সেবক, শ্ৰীনবীনচন্দ্ৰ বসু । চাউলগুলি ও পত্ৰখানি যখন কলিকাতাতে পৌছিল, বৃদ্ধ হলধর বসু অতিশয় আনন্দিত হইলেন ; তঁহার বিষয়-চিন্তা-জর্জিরিত চিত্তেও যেন কিঞ্চিৎ আন্দ্রেভাব হল ; তিনি গৃহিণীকে বলিলেন,-“গুপীর পুণ্যফলেই এমন সুসন্তান জন্মেছে ।” বড়টা এমন হলো কেন