পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ ফরিদপুরে ফিরিয়া নবীনচন্দ্র উৎসাহের সহিত পূর্বোল্লিখিত সমুদায় কাৰ্য চালাইতে লাগিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই সংবাদ আসিল যে কৃষ্ণকামিনীর বিবাহ বিষয়ে তাহার মাতার মত হইয়াছে; এবং কৃষ্ণকামিনীও সে বিষয়ে নিজ সম্মতি প্ৰকাশ করিয়াছেন। নবীনচন্দ্র এই ংবাদ পাইয়া ঈশ্বরকে অগণ্য ধন্যবাদ করিলেন ; এবং নিজ হৃদয়ের সমুদায় ভােব ব্যক্তি করিয়া কৃষ্ণকামিনীকে এক পত্র লিখিলেন। এই সময় ঠাইতে তিনি নিয়মিতরূপে কৃষ্ণ কামিনীর পত্ৰ পাইতে লাগিলেন ও তঁহাকে পত্র লিখিতে লাগিলেন । কথায় বলে “শ্রেয়াংসি বস্তৃপিক্সানি”, শ্ৰেয়ের পথে কতই বিস্ত্ৰ ! এদিকে বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির হইতে না হইতে কিরূপে সে কথা শুমচাদ মিত্ৰ মহাশয়ের কর্ণে উঠিল। অনুমান করি, ঘোষাগৃহিণী পুত্রদ্বষের বার বার নিষেধ সত্ত্বেও বধূদ্বগ্নকে সে সংবাদ দিয়া থাকবেন। অবশ্য তিনিও বলিবার সময় গোপন রাখিপার জন্য অনুরোধ করতে বিস্মৃত হন নাই ; gg BgBD DED ESDD SgDB0B SBB Dg BDDDBDB BBD DBDB সমাগত কোনও দাসাকে ঐ রূপ গোপন রাখিণার অনুরোধ সহকারে ংবাদটী দিয়া থাকবেন। আমরা জনসমাজে অনেক গুপ্ত কথা এইরূপে গোপন রাখিয়া থাকি । যাহা দুই কণে যায় তাহ অনেক সময়ে শত কৰ্ণে গিয়া পড়ে। যেরূপেই হোক, পৌষ মাসের শেষভাগে সংবাদটী মিত্ৰজ মহাশয়ের কর্ণে উঠিল। তিনি অপার চিন্তাতে নিমগ্ন হইলেন। তিনি ভগিনীর সন্তানদিগকে নিজ সন্তানের ন্যায় জ্ঞান করিয়া থাকেন, এবং এ পরিবারটিকে নিজ পরিবারের অন্তভুক্ত বলিয়া গণনা করেন।