পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ VK যথা সময়ে পুলিষ সাহেব ও মিশনারী সাহেব আসিলেন । কিন্তু কি প্ৰণালীতে বিবাহ হইবে ? পঞ্চ ব্ৰাহ্মসমাজে যান বটে, কিন্তু ব্ৰাহ্মসমাজের কোনও পদ্ধতি তখনও হয় নাই। হিন্দু পদ্ধতি যে কি তাহা এই ইংরাজীনবিশদিগের কাহারও জানা ছিল না। আর কাশীর মত স্থানে বিধবা বিবাহের পুরোহিত বা কোথা পাওয়া যায় ? অবশেষে স্থির হইল, পঞ্চ একটু ঈশ্বরের স্তুতি করিবেন, বরকন্যা একটি প্রার্থনা পাঠ করিবেন, ও একটা প্ৰতিজ্ঞাপত্ৰ লিখিয়া সাক্ষীদের সমক্ষে স্বাক্ষর করিবেন ; তৎপরে নবীনচন্দ্র একটা উইল লিখিয়া কৃষ্ণকামিনীকে তাহার সমুদায় সম্পত্তির স্বত্বভাগিনী করিবেন । তদনুরূপ প্ৰণালীতেই বিবাহ ক্রিয়া সম্পন্ন হইলা । যে প্ৰতিজ্ঞাপত্রে নবীনচন্দ্র ও কৃষ্ণকামিনী স্বাক্ষর করিলেন, তাহাতে ব্ৰজ রাজ, পঞ্চ, মিশনারী সাহেব ও পুলিষ সাহেবেরও স্বাক্ষর রীতিল । বিবাহের আমোদ প্ৰমোদ কিছুই হইল না। নবীনচন্দ্ৰ পুলিষ সাহেবকে বলিয়া আরও দুইদিন পাহারা রাখলেন । দুই দিনের মধ্যে তিনি রাঙ্গা মারি সমুদায় বন্দোবস্ত করিলেন । তঁহার পূর্বপরিচিত একজন বন্ধুকে সপরিবারে সেই বাড়ীতে রাখিবার পরামর্শ স্থির করিলেন । দুষ্ট দিন পরে তাহারা রাত্রিকালে নৌকাযোগে কাশীধাম পরিত্যাগ করিয়া স্বদে শাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পথে আসিয়া রেলগাড়ি ধরিয়াছিলেন। নবরত্ন সভার সভ্যগণ পূৰ্ব্ব হইতেই সংবাদ পাইয়াছিলেন। তঁহারা সকলে রেলওয়ে ষ্টেশনে উপস্থিত হইয়া মালচন্দন দিয়া বর ও কন্যাকে অভ্যর্থনা করিয়া লইলেন। দুই এক দিনের মধ্যে বর কন্যার সন্মানার্থ নবরত্ন সভার সভ্যাদিগের একটা মহাভোজ হইয়া গেল। আনন্দ ও উৎসাহের সীমা পরিসীমা নাই । .