পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WSR * অনেক দেনাপত্র ; আমি অধিক কিছু সাহায্য করিতে পারিব না, তবে ইন্দু যদি হিন্দুস্কুলে পড়ে, তাহার স্কুলের বেতন পাঁচ টাকা মাসে দিতে পারি।” এই উত্তর পাইয়া যুগলকিশোর অতিশয় চটিয়া গেলেন। বলিলেন, “দেনাপত্রের জ্বালা কি কেবল তারই ? আমারও অনেক BBBBD DBBDSS S SSDD DDD DBDS zY D BB KJ g টাকার অধিক দিতে না পারেন, তবে আমি কোন সাহসে একেলা এত बड़ डाल १श् कब्रि ?” বিজয়ী দেবরাদ্বয়ের এই ভাব দেখিয়া মৰ্ম্মাহত হইলেন। পতির মৃত্যুশয্যার সেই দৃশ্য বার বার তাহার স্মৃতি-পথে উদিত হইতে লাগিল ; পতি মহাশয় দেবরাদ্বয়ের সুশিক্ষার জন্য যাহা কিছু করিয়াছিলেন সমুদায় চক্ষের নিকট আসিতে লাগিল ; সেই সকল স্মরণ করিয়া গোপনে অনেক অশ্রু বিসর্জন করিলেন। অবশেষে গত্যন্তর না দেখিয়া নশিপুরে থাকিবার জন্য দেবরদ্বয়ের অনুমতি প্রার্থনা করিলেন । এ অনুমতি পাইতে আর অধিক বিলম্ব হইল না। যুগলকিশোর বলিলেন, “সে ত বেশ । এখানে থাকা আর সেখানে থাকা একই কথা।” বিজয়ী মনে মনে কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধ হইলেন, কিন্তু মুখ ফুটিয়া কিছুই বলিলেন না। অবশেষে তঁহার নশিপুরে ফিরিয়া আসাই স্থির হইল। বিজয় যখন নশিপুরে পুনরাগমন করিলেন, তখন তর্কভূষণ মহাশয়ের পরিবারস্থ ব্যক্তিগণের আনন্দ আর মনে ধরে না ! গৃহিণী বলিলেন, “বাঁচলাম বাপু, তুই আমার হাতের কাজ গুলো বুঝে নিলে আমি বাচি।” পুত্ৰগণ সকলে মহা আনন্দ প্ৰকাশ করিতে লাগিল ; বধূগণ বিজয়াকে বেষ্টন করিয়া অকৃত্ৰিম সন্তোষ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন ; দাস দাসী পরিবার পরিজন কাহারই আনন্দ প্ৰকাশ করিতে বাকি রহিল। না। তর্কভূষণ মহাশয়ের আনন্দ বাহিরে বুঝিতে পারা গেল না ; কিন্তু