পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেবল তিনি কেন, মিষ্ট স্বভাবের এমনই গুণ, তাহার ব্যবস্থা সকলেই হৃষ্ট-চিত্তে পালন করিতে লাগিলেন। । এ স্থলে কেহ কেহ হয়ত জিজ্ঞাসা করিবেন যে, রন্ধনের ভার, মাছ তরকারি কোটার ভার, ছেলেদের প্রাতরাশের ভার, এ সমুদায় ভারত অপরের হস্তেই রহিল। গৃহিণীর নিজের হস্তে কেবল এক ভাড়ারের ভার ছিল। তাহাও যদি বিজয়াকে দিলেন, তবে তাহার আর কি কাজ থাকিল ? কেন, তাহার কি কাজ:নাই ? যে দশ বারটা পৌত্র পৌত্রীর উল্লেখ করিয়াছি, সে স্কুলটি রাখে কে ? সে কি সাধারণ ব্যাপার ? তাহাদের মধ্যে সৰ্ব্বদাই কিচমিচ, টিকটিকি, চুলেচুলি, হাতাহাতি, নখাঘাত, দংষ্ট্রাঘাত ও পদাঘাত প্ৰভৃতি চলিতেছে। সে সময় সেই শিশুদলের মধ্যে পড়িয়া বিবাদের মীমাংসা করা, চিনির পাতাটি বা মিছরির কাগজটি বাজারের সামগ্রীর সহিত আসিয়া নামিবামাত্র যখন একেবারে সেইদিকে বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র চরণের গতি হয়, তখন অগ্রসর হইয়া সেগুলি রক্ষা করা ও নখে খুটিয়া একটু একটু দিয়া সকলকে বিদায় করা, ঐ ক্ষুদ্র সৈন্যদলের কাহারও সর্দি কাসি জ্বর প্রভৃতি হইলে গাছ-গাছড়া প্ৰভৃতি কুড়াইয়া পাচন প্রলেপ প্রভৃতি প্ৰস্তুত করা, বঁটাতে কলম কাটিয়া কয়ল। ঘসিয়া কালি করিয়া বালকদিগকে পাঠশালে প্রেরণ করা, এবং সর্বশেষে প্ৰত্যেক দিন সন্ধ্যাকালে ঐ শিশুদের মধ্যে সমাসীন হইয়া “একানড়ের কথা”, “ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গামী পাখীর কথা”, “পক্ষীরাজ ঘোড়ার কথা' প্রভৃতি নানা কথা বলিয়া তৃহাদিগকে নিদ্রায়িত করা, এসকল বি কাজেয় মধ্যে নয় ? তাহার কাজের অভাব কি ? বৎসরে একটা দুইট করিয়া ভঁাহার বংশ বৃদ্ধি হইতেছে, সুতরাং তঁহার কাজের অন্ত নাই স্বয়ং ইহা ব্যশিলে অচ্যুক্তি হয় না ধে বিজয়ী আসিয়া সংসারের ভার গ্ৰহ কল্পটিতে তিনি তঁহার নিজেয় প্ৰকৃত কাজ কফ্রিকায় অধিক সময় পাইলেন।