পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ s পারিতোষিক মাত্র জানবে। না নিলে মনে করুব যে কিরূপ সদ্ভাবে দিচ্চি, তুমি তা বুঝতেই পারলে না। : শেষোক্ত কথাগুলিতে গোবিন্দ আর না লইয়া থাকিতে পারিল না । ] বিজয়ী। আমি ত তোমাকে বিন্দুকে পড়াতে বলি নাই ; তুমি যে আপনা হতে পড়াও, ইহার কারণ কি ? গোবিন্দ। আপনার ঐ মেয়েটা বড় বুদ্ধিমতী ; ওর সঙ্গে কথা কইলে আনন্দ হয় ; একদিন কথায় কথায় বললে কালকেতায় ওর পড়াবার মাষ্টার ছিল, এখানে কেউ নাই ; তাই আমি বলেছি। --আচ্ছা! আমি তোমাকে পড়া বলে দেব । বিজয়া। তুমি যেমন ছেলে তার মত কাজই করেছ; আচ্ছা তুমি যেমন পড়াচ্চ তেমনি পড়াও, আমি মাসে তোমাকে পাঁচ টাকা করে দেব | গোবিন্দ । ( সলজভাবে ) না, আমি টাকা নেব না । বিজয়া। সে বিষয় পরে দেখা যাবে! বিন্দুকে কেমন দেখছে ? গোবিন্দ । ওর স্বভাব চরিত্র বড় ভাল ; সচরাচর এমন মেয়ে দেখা যায় না ; কেবল দোষের মধ্যে একটু একগুয়ে। ] বিজয় । ওতেই ওকে খেয়েছে ; ওটা ওদের বংশের দোষ ; তিনি বড় একগুয়ে লোক ছিলেন ; ইন্দুও একগুয়ে। এইরূপ কথোপকথন হইতেছে, ইতিমধ্যে একজন ছাত্র গোবিন্দকে ডাকিতে আসিল । গোবিন্দ তাড়াতাড়ি বাহিরে চলিয়া গেল। বিজয়ী কথা শুনিতে যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হইতে গেলেন। । এইস্থলে গোবিন্দের কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া আবশ্যক বোধ হইতেছে। গোবিন্দ ঐ নিশিপুর গ্রামের রামনিধি চাটুৰ্য্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান। রামনিধি কোথা হইতে যে সে গ্রামে আসিয়াছিলেন, তাহ কেহ বলিতে পারে না। এইরূপ শুনা যায়, তিনি দক্ষিণ দেশের লোক। পূৰ্ব্বদেশে