পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b/ যুগান্তর অন্য উপায় নাই। গ্রামের মধ্যে বিবাহ কি শ্ৰাদ্ধ কি অন্য কোন অনুষ্ঠান, হইলে ঐ যুবকদল কিঞ্চিৎ পয়সা আদায় করিতে ছাড়ে না। সকলের হাত ছাড়ান যায়, তাহদের হাত ছাড়ান দুষ্কর। তাহারা এইরূপে যে কিছু আদায় করে, তাহা সম্বৎসরকাল কাহারও হস্তে জমাইয়া রাখে ; তৎপরে বারইয়ারি উৎসবের সময় ব্যয় করে। তাহারা তর্কভূষণ মহাশয়কেও ধরিয়াছে। কিন্তু তঁহাকে পীড়াপীড়ি করিয়া ধরিবার প্রয়োজন হয় নাই। তিনি নিজে গম্ভীর প্রকৃতির লোক হইলেও যুবকদিগের ঐ সাম্বাৎসরিক পূজার উৎসবের পক্ষপাতী ; ছেলেরা, বিশেষতঃ গ্রামের সাধারণ লোকে, বৎসরে দুই চারিদিন আমোদ প্রমোদ করে, ইহা মন্দ নয়, মোটামুটি তঁহার এই প্রকার একটা ধারণা আছে। ছেলেরা আসিয়া ধরাতে তিনি বলিয়াছেন—“ওহে বাপু ! আমাকে পীড়াপীড়ি করুবার প্রয়োজন নাই। আমার বাগানের বাঁশ ঝাড় হতে তােমাদের আটচালা বাধিবার বঁাশ লাইও এবং তদ্ভিন্ন আমি এককালীন দশটা টাকা দিতেছি, লইয়া যাও।” যুবকদল অতি সন্তুষ্ট হইয়া তর্কভূষণ মহাশয়ের বদ্যান্যতার প্রশংসা করিতে করিতে গিয়াছে { ঐ যুবকদল বিদায় হইলেই আর এক যুবকদল আসিয়াছিলেন। ইহাদের প্রযত্নে গ্রামের ইংরাজী স্কুলটি স্থাপিত হইয়াছে ও চলিতেছে। ইহারাও বারইয়ারিদলের অনুকরণ করিয়া বিবাহাদি উৎসবে কিছু কিছু অর্থ আদায় করিয়া থাকেন। ইহারা উপস্থিত হইলে তর্কভূষণ মহাশয় বলিয়াছেন—“অবশ্য তোমাদের কিছু প্ৰাপ্তির আশা করবার অধিকার আছে ; বারইয়ারির জন্য ১০২ দশ টাকা দিয়াছি, আর তোমরা ত দেশের একটা উপকার করুবার জন্য লেগেছ, তােমাদের সাহায্য করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য। তোমাদের উদ্দেশ্য অতি মহৎ, তোমরা দেশের হিতৈষী বন্ধু।” এই বলিয়া তাহাদিগকে ২৫২ পাঁচশ টাকা দিয়াছেন, এইরূপ