পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ (VO) মার ঘর পুড়ে গিয়েছে ; আজ রাত্রে কোথাও পড়ে থাকবে ; কাল প্ৰাতে খিড়কীর পথের ধারের ঘরের কাটকাট রাগুলা বাহির করে ফেলে ঘরটা পরিষ্কার করে দিও ; তার ঘর তৈয়ার হওয়া পৰ্যন্ত সে সেখানে থাকবে।” এদিকে গোবিন্দ একটু সুস্থ হইলেই বিজয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঘরে আগুন কি করে লাগলো ?” ፖኽ গোবিন্দ। নাপ্তেদের রান্না ঘরের চালে একটা দড়ি ঝুলান ছিল ; রান্না খাওয়ার পর উনানে আগুন ছিল ; একটি ছোট ছেলে কোন অবসরে রান্না ঘরে প্রবেশ করে, উনানের আগুনে একটা নারিকেল পাতা জ্বালাইয়া কেমন করে সেই দড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। বিজয় । তুমি তখন কোথায় ছিলে ? গোবিন্দ । আমি মার সঙ্গে দেখা করে বাড়ী হতে আসছিলাম। বিজয় । আগুনের ভিতরে গেলে কেন ? গোবিন্দ। আমি গোলমাল শুনে ছুটে এসে দেখলাম, একখান ঘর জ্বলছে, তাহা বঁচবার কোনও উপায় নেই ; পাশের পুকুরটাতে এক বিন্দু ও জল নেই, সকলে চাটুৰ্য্যেদের পুকুর হতে জল আনতে । ছুটিছে ; এদিকে বাতাসের জোরে অগুন ছড়িয়ে পড়ছে। দেখতে দেখতে আর এক খানা ঘরে লাগলো ; তখন সকলে বললে, সেই ঘরের চাল কেটে নামিয়ে দিতে পারলে অন্য ঘর গুলো বঁাচে । দেখলাম সকলেই বলে, “ওঠন” “চালটা কাটনা” কিন্তু কেউ ওঠে না। অবশেষে আর থাকতে পারলাম না, নিজেই উঠলাম। গৃহিণী। বাবা, আপনার প্রাণটা বাঁচিয়ে ত পরের উপকার করতে হয়। ক্রমে মহিলাগণ একে একে অন্তঃপুরে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন। বিজয়ী