পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 যুগান্তর محسحیم অনেকক্ষণ গোবিনোদর নিকট বসিয়া। তাছাকে বাতাস করিতে লাগিলেন। গোবিন্দ অতি লাজুক ছেলে ; সে তাহাকে বারবার অন্তঃপুরে যাইতে অনুরোধ করিল, কিন্তু তিনি গেলেন না ; অবশেষে মৌনী হইয়া পড়িয়া রহিল। অনেকক্ষণ পরে বিজয়৷ গোবিন্দকে নিদ্রিত দেখিয়৷ অন্তঃপুরে গমন করিলেন । তর্কভূষণ মহাশয়ের সাসুংসন্ধা ও জপ সমাপন করিতে প্ৰায় দেড়ঘণ্টা দুইঘণ্টা অতীত হইয়া গেল । তদন্তে তিনি বাহির বাড়ীতে আসিয়া মধু চাকরকে ভাকিয়' জিজ্ঞাসা করিলেন, “ তরের মা ছেলে দুটা নিয়ে এসেছে কি ?” যখন শুনিলেন আসিয়াছে, তখন বলিলেন, “বিজয়াকে গিয়ে বল, যে তাদের ধেন কষ্ট না হয়, ভাড়ার ঘরের রোয়াকে আজ রাত্রে তারা থাকবে।” “যে আজ্ঞা” বলিয়া মধু সেই আদেশ পালন করিতে গেল। তক ভূখণ মহাশয় ও চণ্ডীমণ্ডপে নিজের স্থানে উঠিয়া সমাগত কতিপয় প্রতিবেশী ব্রাহ্মণের সহিত শাস্ত্রীয় আলাপে প্ৰবৃত্ত হচ্ছেলেন । ' প্রতিবেশিগণ স্ব স্ব গৃহে প্রতিনিবৃত্ত ঠাইলে, তর্কভূষণ মহাশয় যথাসময়ে আহারাদি করিয়া সকাল সকাল গিয়া শয়ন করিলেন । কিন্তু অন্ত তাহার মন কিরূপ উত্তেজিত, কোন রূপেই নিদ্রা হইতেছে না। { কেবল অগ্নিকাণ্ড ও হরের মার কথা মনে আসতেছে। অনেকক্ষণ পরে নিদ্ৰা আসিল । কিন্তু গৃহী লোকের বিশ্রাম-সুখ সম্পূৰ্ণরূপে তঁহাদের আয়ত্ত্বাধীন নহে । কখন কোন ঘটনা ঘটে, তাই কে বলিতে পারে ? রাত্রি দুই প্রহর অতীত না ঠাইতে কে একজন আসিয়া শঙ্করের ঘরের দ্বারে তঁহাকে ডাকিতেছে । শঙ্কর প্রগাঢ় নিদ্রাতে আছেন ; অনেক বার ডাকাডাকি করাতে ও উত্তর দিতেছেন না । ইত্যাবস রে বিজয়ী দ্বার খুলিয়া বাহির হইলেন। শুনিলেন, গৌরীপতির শ্বশুরের