পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ (t ፃ তর্ক। মধু, একবার জালগাছ খিড়কীর পুকুরে বার দুই ফেলে দেখত কিছু পড়ে কিনা।

  • মধু। যে আজ্ঞে ।

গৃহিণী। এমন বাতিক গ্ৰস্ত মানুষ নাকি হয়! চললো এই রেতে পুকুরে মাছ ধরতে । তর্ক। ওগো সমস্ত দিন অনাহারে পথশ্ৰম করে যদি আসতে, তাহলে জানতে পারতে চারটি মাছের ঝোল ভাতের জন্য বাঙ্গালির প্ৰাণটা কেমন করে । সৌভাগ্যক্রমে মধু জাল ফেলিবা মাত্র কতকগুলি বাটা মাছ পাইল । তর্কভূষণ মহাশয় শুনিয়া অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন। এদিকে বিজয়া ও সেজ বেী দুই উনান জালিয়৷ ডাল ভাত চড়াইয়া দিয়াছেন । দেখিতে দেখিতে, ডাল মাছের ঝোল ভাত প্ৰস্তুত হইল । অতিথিদিগকে অন্তঃপুরে ডাকিয়া আনা হইল। তৰ্কভূষণ মহাশয় ভোজন স্থানে আগমন করিলেন ; সুমিষ্ট সম্ভাষণে অতিথিদিগকে নানা প্রশ্ন করিয়া আপ{ায়তা করিলেন ; এবং যতক্ষণ তাহারা আহার করিলেন, ততক্ষণ নিকটে দণ্ডায়মান থাকিয়া প্ৰত্যেকের আহারের তত্ত্বাবধান করিলেন । অতিথিগণ পরিতোষ পূৰ্ব্বক আহার কারিয়া পরস্পর তর্কভূষণ মহাশয়ের পরিবারটার প্রশংসা করিতে করতে বাহিরে শয়ন করিতে গেলেন। তৰ্কভূষণ মহাশয় পুনরায়, “দুর্গে দুর্গােত-হারিণি।” বলিয়া ইষ্টদেবতার নাম স্মরণপূৰ্ব্বক শয়ন করিলেন।