পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ (? গিরিশ। সে ত ছেলে ভাল, তার মত সচ্চরিত্র ছেলে আজ কাল দেখা যায় না ; কিন্তু তার কতকগুলি বড় দেয আছে। প্ৰথম, সে সন্ধ্যাআহ্নিক করে না ; দ্বিতীয়, সে বুধবার বুধবার ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনা করতে যায়, ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা নেয় ; তৃতীয়তঃ, প্রতি শনিবার রাত্রে কি এক “নবরত্ন” সভা করতে যায়। বাবা এই সকল কথা শুনে একেবারে হাড়ে চটে গেছেন ; তার সঙ্গে আর কথা কন না । বিজয় । পঞ্চ কি বলে ? “ গির্বিশ। আমি তাকে কত বলেছি ; সে বলে সন্ধ্য-আঙ্গিক করবো কি, যা বিশ্বাস করি না, তা করা ত ভণ্ডাম । আমি বলি, সব কথা কি তুমি বোঝা ? একটা প্রথা চলে আসচে, করলেই বা ; তা সে কোনও 20७2 (*igन की । বিজয়া। ব্ৰাহ্মসমাজে যায়, তত্ত্ববোধিনী কাগজ পড়ে, তাতে রাগের বিষয় কি ? আমাদের তিনি ত ব্ৰাহ্মসমাজে যেতেন, তত্ত্ববোধিনী কাগজ ও নিতেন । ব্ৰাহ্মসমাজে ত পরমেশ্বরের উপাসনা হয় ; আর আমি নিজে তত্ত্ববোধিনী কাগজ পড়ে দেখেতি, তাতে অতি চমৎকার কথা থাকে, পড়লে মানষের জ্ঞান হয় ; সকলেরই তা তত্ত্ববোধিনী পড়া উচিত । গিরিশ। ও ছোড় দিদি, তুমি মেয়েমানুষ। কিনা, তাই সোজাসুজি বুঝেছি । ব্ৰাহ্মসমাজে গিয়েই ত বেগড়ানে বুদ্ধি দুটে । সেখানে গিয়েই ত শোনে পুতুলপূজা করতে নেই, জাতটে কিছু নয়, কুসংস্কার গুলো छाङ् gठ श्ध्न । বিজয় । কৈ আমাদের তার ত বেগড়ানে বুদ্ধি দেখি নাই ! গিরিশ । তিনি ত বুদ্ধিমান জ্ঞানী লোক ছিলেন। মনে যাই থাকুক, কাজে সমাজবিরুদ্ধ আচরণ কিছু করতেন না । এরা আবার এক কাটি সরেস । বাঁশের চেয়ে কঞ্চি শক্ত কিনা । তবে ইহার ভিতর একটা কথা R