পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R যুগান্তর বিদ্যা বৃদ্ধির খ্যাতি, এই ডোম-কন্যার কৰ্ণে পৌছে নাই। আর পোঁছলেই বা কি ? অমুক তর্কভূষণ বলিলেই ত কিছুই বুঝা যায় না। তর্কভূষণ মহাশয়ের সমগ্ৰ নামটা রমণীদিগের কেহই বলিতে পারিতেছেন না । গৃহিণীর ত কথাই নাই ; তিনি পতির নাম কিরূপে ধরিবেন ? যে তিনটী বিধবা গাড়িতে আছেন, তাহারাও সম্পর্কে তর্কভূষণ মহাশয়ের ভ্ৰাতৃবধু কিরূপে ভাশুরের নাম ধরিবেন ? যে বিধবাটীর নাম ধরিবার অধিকার আছে, তিনি গাড়িতে নাই। মহা মুন্ধিল । রমণীগণ বুঝাইবার জন্য যাহা কিছু বলিতেছেন, তাহাতে ঐ ডোম-কণ্ঠী কিছুই বুঝিতে পারিতেছে না । অবশেষে সে গিয়া একজন দোকানদারকে ডাকিয়া আনিল । সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন লোক আসিল । গাড়ির দ্বারে জনতা ! ব্যাপারটা কি ? রমণীরা নশিপুরের কোন ব্রাহ্মণের কথা বলতে ছন, তাহ স্থির করিতে হইবে । গাড়ির দ্বারে জনতা দেখিয়াই মধু ছুটিয়া আসিল । গৃহিণী মধুকে তর্কভূষণ মহাশয়ের নামটা বলিয়া দিতে আদেশ করিলেন । দোকানদার শুনিয়া বলিল, “ওঃ জানি, জানি, আমি ও'ক পাঠিয়ে দেব।” এক | ভখারিণী চলিয়া যাইতে না যাইতে আবার আর এক দল ভিক্ষুক উপস্থিত । এক দণ্ডের মধ্যে সেই ক্ষুদ্র গ্রামের দরিদ্র ও DBB B0KDS0Sg EGD DgS zKD KEDKSBBS BBgDJBB gSLDDLD BD একজন বড়লোকের স্ত্রী যাইতেছেন, তিনি বেঁশের স্ত্রীকে একটা টাকা দিয়াছেন । অমন একটা দুইটা করিয়া অনেকগুলি ভিক্ষুক গাড়ির দ্বারে উপস্থিত। আবার মধু ছুটিয়া আসিল । সে মনে ভাবিল, গৃহিণী : নিকট আর ও টাকা আছে, তাহা তাহার হস্তে থাকিলে একটাও থাকিবে না ; সেগুলি কাড়িয়া লওয়া আবশ্যক। ভাবিয়া বলিল—“ম ঠাকরুণ ! আপনার কাছে আর কত টাকা আছে ?”