পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগান্তর সহিত দৌড়িয়া পরিবেন কেন, তাহার হরিণশিশুর ন্যায় লম্ফ দিয়া কোথায় পলাইয়া যাইত। একবার এই নিষ্কৰ্ম্ম যুবকদল মনে করিল, যে বৃদ্ধ বাচস্পতিকে প্রতারণা করিয়া একটা ভোজ আদায় করিবে। ইহাদের একজন ঘটক সাজিয়া গম্ভীরভাবে বাচস্পতি মহাশয়কে বলিল“ঠাকুর দা, লক্ষ্মীছাড়ারা আপনাকে নিয়ে তামাসা ঠাট্টা করে, আমি কিন্তু আপনার জন্য একটী কনে দেখে এসেছি।” বাচস্পতি অমনি তন্মনস্ক । ক্ৰমে প্ৰকাশ পাইল, যে কন্যাটী পাশ্বের এক গ্রামে আছে, তাহার পিতা মাতা নাই; ভাই বিবাহ দিতে স্বীকৃত হইয়াছে; সমুদায় ঠিক ; কেবল দিন স্থির করিলেই হয়। বৃদ্ধ বাচস্পতির সহিত এই বন্দোবস্ত হইল, যে বিবাহ-যাত্রার পূর্বদিনে তাহাদিগকে ভোর দাম লুচি সন্দেশ খাওয়াইবেন । তদনুসারে দিন স্থির হইয়া তৎপূর্বদিন যুবক দল উত্তমরূপ ভোজের আমোদ করিল। পরদিন বর লইয়া বিবাহ দিতে গেল । গ্রামের লোকে মনে করিল, সত্য সতাই বুঝি বিবাহ দিয়া আনিতে যাইতেছে। ও দিকে সে গ্রামের একজন যুবকের সহিত ঠিক করিয়া রাখিয়াছে যে, তাহাদের ঘরে বিবাহের আসর করিয়া, রাখিবে এবং একটি বালককে স্ত্রীলোকের কাপড় পরাইয়া কন্যা সাজাইয়া রাখিবে । সেই কন্যার সহিত যথাসময়ে বিবাহ হইয়া যাইবে । তৎপরে শয়ন-গৃহে একটী খড় ও মুন্নিৰ্ম্মিত কন্যামূৰ্ত্তি শয্যাতে শয়ান রাখা হইবে। ঐ মূৰ্ত্তির মস্তক ও দুই বাহু লৌহের তারের দ্বারা পার্শ্ববৰ্ত্তী গৃহের সহিত সংযুক্ত। থাকিবে । বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ যেই শয্যাতে গিয়া বসিবেন, অমনি মৃন্ময়ী কন্যা উঠিয়া দুই বাহু বিস্তার করিয়া নাচিতে আরম্ভ করিবে। পরামর্শ মত সমুদায় বন্দোবস্ত হইয়াছিল। যথাসময়ে পুরোহিত আসিল ; কন্যা আসিল ; এবং কন্যার ভ্রাতা কন্যাকৰ্ত্তা হইয়া বিবাহ দিল। । বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ বাসর ঘরে গিয়া যেই বসিলেন, অমনি শয্যাতে শয়ন মৃন্ময়ী কন্যা উঠিয়া