পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bro যুগান্তর ভোজন-শক্তিতে নিকৃষ্ট, তাহারাই পাতিহঁাস । আহারে সুদক্ষ বলিয়া এক বৎসর হইল ইহার গোবিন্দকে দলে ভৰ্ত্তি করিয়া পাতিহাস করিয়া রাখিয়াছে। ইহাদের মেম্বর হইতে হইলে দুইটা মাত্র গুণের প্রয়োজন ; স্বভাব্যচরিত্র ভাল হওয়া চাই এবং ভোজনে পটুতা চাই। গোবিন্দের সে উভয় গুণই আছে। এতদ্ভিন্ন ইহাদের রাজহংসের দলে একটী বিশেষ ব্যক্তি আছেন, র্তাহার কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া আবশ্যক। তঁহার নাম ‘তাওক” বা “অষ্টবক্র”। সকলে হয়ত ভাবিতেছেন, এ আবার কিরূপ নাম ? ভিতরকার কথাট। এই, ইহার নাম তারক। তারকের জন্মগত কিছু বৈলক্ষণ্য আছে। তাহার বৃদ্ধিযোগ অতি অল্প। জন্মাবধি অঙ্গসন্ধির এরূপ শিথিলতা, যে তারক সোজা হইয়া ভাল করিয়া হাঁটতে পারে না। হঁটিতে গেলেই ভাঙ্গিয়া চুরিয়া, দেহটা এক প্রকার হইয়া যায় । এজন্য গ্রামের অনেক লোকে তাহাকে অষ্টাবক্র বলে। এতদ্ভিন্ন তারকের কথা কহিতে গেলে লাল পড়ে, ও সকল কথা ভাল উচ্চারণ হয় না। কেহ তাহার নাম জিজ্ঞাসা করিলে বলে, “তাওক” ! এজন্য যুবকদল তাহাকে “তাওক” বলিয়া ডাকিয়া থাকে। তাওক কি গুণে ইহাদের দলে আসিল ? কেবল ভোজনশক্তির গুণে। তাওকের কুক্ষিটা যেমন সুদীর্ঘ, তেমনি সুবিশাল ; সুতরাং অনেক দ্রব্য তাহাতে ধরে । এই কারণে যুবকদল তাহাকে হাসের দলে ভূৰ্ত্তি করিয়া লইয়াছে। কেবল তাহা নহে, এক বৎসরের মধ্যে রাজহংসের দলে প্রোমোশন দিয়াছৈ। তাওকের বুদ্ধিযোগ যে অত্যন্ন, সেটা তাহার পৈতৃক সদগুণ । তাহার পিতা নবকান্ত রায় বৃদ্ধিমত্তাগুণে গ্রামে প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। তঁহার বৃদ্ধিমত্তার নিদর্শন স্বরূপ অনেক গল্প গ্রামে প্রচলিত আছে । একবার নাকি নবকাস্তেত্ব জননী তাঙ্গাকে বাজার করিবার জন্য পয়সা দিয়াছিলেন।