পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । :) ) :) চারি গুণ এবং রেচকে দুই গুণ হইয়া থাকে । মাত্রাসংখ্যানুসারে প্রাণায়ণম তিন প্রকার,-—বিংশতি, বেড়িশ ও দ্বাদশমাত্রা । বিংশতিমাত্রাসংখ্যা প্রাণায়াম উত্তম, ষোড়শমাত্রাসংখ্যা প্রাণায়াম মধ্যম, এবং দ্বাদশমাত্রাসংখ্যা প্রাণায়াম অধম । উত্তম মাত্র প্রণণায়ণমে বিংশতিমাত্র পুরকে, উহার চারি গুণ অর্থাৎ অশীতিমাত্রা কুম্ভকে এবং দ্বিগুণমাত্রা অর্থাৎ চল্লিশমাত্রা রেচকে গৃহীত হয় । ঐ রূপ মধ্যম ও অধমমাত্রা প্রাণায়ামে চারি ও দুইগুণক্ৰমে কুস্তক ও রেচকে মাত্রাসংখ্যা বুঝিতে হইবে । অধম মাত্রা সাধনে শরীর হইতে ঘৰ্ম্ম নিঃস্থত হইতে থাকে । মধ্যমমাত্রা প্রাণায়ামসাধনে পৃষ্ঠমধ্যস্থ মেরুদণ্ডের সমান যে একটি নাড়ী গুহাদেশ হইতে ব্ৰহ্মরন্ধ, পর্য্যস্ত উদ্ধে উত্থিত হইয়াছে, সেই নাড়ীটি কম্পিত হইতে থাকে, এবং উত্তম মাত্রা প্রাণায়ামসাধনে যোগী ভূমিতলে অবস্থান হইতে মুক্ত হইয়া আকাশ-সঞ্চারণত্ব লাভ করিতে সক্ষম হয় । ঘৰ্ম্ম নিঃসরণ, মেরুকম্পন ও ভূমিত্যাগরপ থেচরতা লাভ,—এই তিনটিই প্রাণায়াম সিদ্ধির লক্ষণ । প্রোণায়ামাৎ থেচরত্বং প্রাণায়ামাদ্রোগনাশনম । প্রাণায়ণ মণদ্বোধয়েচ্ছক্তিং প্রাণায়ামান্মনোন্মনী । আনন্দো জায়তে চিত্তে প্রাণায়ামী সুধী ভবেৎ ॥ প্রাণায়ামসাধন দ্বার। শূন্তমাঙ্গে গমনাগমনের ক্ষমতা জন্মে, রোগ বিনষ্ট হয়, কুগুলীশক্তি উদ্বোধিতা অর্থাৎ জাগরিত হয়, মনের উন্মীলন অর্থাৎ দিব্যজ্ঞান লাভ হইয়া থাকে এবং পরমানন্দ ও অপূৰ্ব্ব সুখলাভ হয় । 愉 এখন পূর্বে যে সকল কুম্ভকের কথা বলিয়াছিলাম, তাহার সবিশেষ বিকর বলিতেছি, শ্রবণ কর.। ημή"Εκαψα