যোগতত্ত্ব-বারিৰি । > $ዓ ίδαμα চিত্তের লয় । চিত্ত কোন এক অনির্দেশু আকারে লয় প্রাপ্ত হইলেই তদশায় তাহাকে লয়যোগ বলা যায় । এখন আমাদিগকে বুঝি যা দেখিতে হইবে, চিত্তলয়েয প্রয়োজন কি ? প্রয়োজন ব্যতীত কার্য্য করিবার অাবশুকতা নাই । অতএব লয়যোগের প্রয়োজনানুসন্ধানের অবিশুক । যে কোন প্রকারেই হউক, অামাদিগের মায়ামুক্ত হওয়া প্রয়োজন। মায়ামুক্তির জন্যই যোগাদির অনুষ্ঠান । মায়া-মুক্তির প্রয়োজন কি জন্য, তাহও বুঝিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । ব্ৰহ্ম ব্যতীত জগতে অপর কিছুই নাই । অপর যাহা কিছু দেখা যায়, সমস্তই ব্রহ্মের মায়া । মায়া কি, সে কথার অালোচনা পরে করিতেছি । তবে সংক্ষেপে বলা যায়, ঈশ্বরের অশেষ প্রকার শক্তির মধ্যে মায়ণও একটি শক্তি । পরমাত্মা ব্রহ্ম—জীবাত্মা সেই পরমাত্মার অংশবিশেষ । তবে সে অংশ, বিভাগ নহে,—প্রজলিত অগ্নি হইতে অপর কিছু জালিয়া লইলে যেমন তা হাকে অংশ বলিতে হয়, ইহাও সেইরূপ অংশ । অথবা আমি এই গৃহমধ্যে বসিয়া লিখিতেছি,—বাহিরে মহাকাশ, গৃহমধ্যে গৃহাকাশ, আবার আমার এই মস্ত্যাধারে ঘটাকাশ,—ঘট ভাঙ্গিয়া ফেল, ঘটশকাশ গৃহাকাশে পরিণত হইবে । কিন্তু ঘটাকাশ বা গৃহণকাশকে যেমন মহাকাশ্নের অংশ বলা যায়, জীবাত্মা পরমাত্মার তেমনই অংশ । ব্ৰহ্ম স্বকীয় শক্তি মায়াদ্বারা আপনার সত্তাকে জগদ্ধপে পরিণত করিয়াছেন। ব্রহ্মই চৈতন্যময় –ব্রহ্ম ব্যতীত চৈতন্য কিছুরই নাই । যেখানে, চৈতন্য দেখা যাইবে, সেই স্থানেই তাহার অংশ বুঝিতে হইবে । * ব্রহ্মের সিস্বক্ষণ ক্রমে যে অংশ মায়ার বশীভূত হইয়া পৃথক ও দেহৰদ্ধ হইয়াছে—তা হাই জীবাত্মা । এখন সেই পৃথগ ভূত চৈতন্ত ৰ৷
