পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

이 잇 যোগতত্ত্ব-বারিধি । ঐ ত্রিশক্তি বিদ্যমান আছে । আমাকে উহাদের বিশেষ বিবরণ বলিয়া অনুগৃহীত করুন । * গুরু । এই তিন শক্তিস্বার মাতুষ ইতর জীব হইতে শ্রেষ্ঠ । এই তিন শক্তিদ্বারা মানুষ মানুষ পদবাচ্য । এই তিনশক্তি যথাক্রমে চিস্তা, কৰ্ম্ম ও ভক্তিনামে আখ্যাত । পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণও এ কথা স্বীকার করেন যে, মহুষ্য জীবনে যাহা কিছু আছে, তাহা তিন শ্রেণীতে frēG , qofl–Thought, Action and Feeling. gÈ f==TTER ঈশ্বরমুখ করা যাইতে পারে ;–তিনই ঈশ্বরাপিত হইলে ঈশ্বরসমীপে লইয়া যাইতে পারে । Thought ঈশ্বরমুখ হইলে জ্ঞানযোগ, Action ঈশ্বরমুখ হইলে কৰ্ম্মযোগ ; Feeling ঈশ্ববমুখ হইলে ভক্তিযোগ । লয়যোগের উদেশ্য, উৰ্দ্ধ বা প্রথমশক্তি Thought বা চিস্তার নিপাতন এবং অধঃশক্তি বা ভক্তির সংযোগে মধ্যশক্তি বা কৰ্ম্মযোগের সাধনায় মাহুষের সাত্ত্বিকানন্দ উপস্থিত হয় । শিষ্য । উৰ্দ্ধশক্তি বা জ্ঞানের নিপাতন কিপ্রকার, বুঝিতে পারিলাম না । শুরু । উত্তরগীতায় একটি শ্লোক আছে,— উদ্ধাহস্তে। যথা কশ্চিন্দ্রব্যমালোক্য তাং ত্যজেৎ। জ্ঞানেন জ্ঞেয়মালোক্য জ্ঞানং পশ্চাৎ পরিত্যজেত । যখামৃতেন তৃপ্তস্ত পয়সা কিং প্রয়োজনম্। এবং তৎ পরমং জ্ঞাত্বা বেদে নাস্তি প্রয়োজনম্ ॥ ইহাদ্বারা বুঝিতে পারা যায়, মানুষের প্রথমে জ্ঞানযোগ সাধনার প্রয়োজন । জ্ঞানালোকে জ্ঞেয় দেখিয়া লইয়া তৎপরে জ্ঞানকে পরিত্যাগ করিবে, এস্থলেও তা হাই বলা হইয়াছে । জ্ঞানযোগেৰ সাধনা করিয়া, জ্ঞেয়পদার্থে দৃঢ়তা লাভ করিয়া, জ্ঞানের নিপাতন