পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ২২ ৫ সুতরাং তৃতীয় পদার্থের আর আবশ্যকতা কি ? এই যাহা কিছু দেখা যাইতেছে, এই জড়শ্রোত ও চিস্তাশ্রোত—কেবল ইহণদেরই অস্তিত্ব অণছে, ইহণদের পশ্চাতে অণর কিছু ভাবিবার অবশ্যকতা কি ? আধুনিক অনেক সম্প্রদায় বৌদ্ধদের এই মত গ্রহণ করিয়াছেন, কিন্তু তাহারণ সকলেই এই মতকে তাহণদের নিজের আবিস্কার বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে ইচ্ছা করেন । অধিক শ বৌদ্ধদৰ্শনের মোট কথা এই যে, এই পরিদৃশ্যমান জগৎই পৰ্য্যাপ্ত , ই চার পশ্চাতে আর কিছু আছে কি না, তাহ অন্তসন্ধান করিবার কিছুমাত্র অপবশ্যকতা নাই । এই ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য জগতেই সৰ্ব্বস্ব –কোন বস্তুকে এই জগতের আশ্রয়রূপে কল্পনা করিবার কি আগবশ্যকতা আছে, যাহাতে সেগুলি লাগিয়া থাকিবে ! পদার্থের জ্ঞান আইসে, কেবল গুণবশির বেগে স্থানপরিবৰ্ত্তন-বশতঃ, কোন অপরিণামী পদার্থ বাস্তবিক উচ্চাদের পশ্চাতে আছে বলিয়া নয় । আমরা দেখিলাম, এই যুক্তিগুলি অতি প্রবল । বাস্তবিক ও লক্ষে একজনও এই দৃশ্য জগতের অতীত কিছুর ধারণ করিতে পারে কি না সন্দেহ । অধিকাংশ লোকের পক্ষে প্রকৃতি নিত্যপরিণামশীল মাত্র । আমাদের মধ্যে খুব অল্প লোকেই আমাদের পশ্চাদ্দেশস্থ সেই স্থির সমুদ্রের অত্যন্ত্র অণভাস ও পাইয়াছেন । আমাদের পক্ষে এই জগৎ কেবল তরঙ্গপূর্ণ মাত্র । তাহা হইলে আমরা দুই মত পাইলাম । একটি এই,—এই শরীর-মনের পশ্চাতে এক অপরিণামী সভা রহিয়াছে। অার একটি মত এই,—এই জগতে নিশ্চলত্ব বলিয়া কিছুই নাই, —সবই চঞ্চল, সবই কেবল পরিণাম ; অদ্বৈতবাদেই কেবল এই দুই মতের সামঞ্জস্য পাওয়া ষায় । অদ্বৈতবাদী বলেন,—জগতের একটি পরিণামী অণপ্রয় অাছে । দ্বৈতবাদীর এই বাক্য সত্য ; অপরিণামী কোন পদার্থ কল্পনা না ఇ ఎ