পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ২২৭ পান না, আর যিনি সেই সম্পূর্ণ স্থিরভাব দেখেন, তাহার পক্ষে গতি কোথায় চলিয়া যায় ! সপের জুত্ৰম হইল। যে ব্যক্তি রজ্জ্বকে সর্প দেখিতেছে, তাহার পক্ষে রজ্জ্ব কোথায় চলিয়া যায়, আর যখন ভ্রাস্তি দূর হইয়া সে ব্যক্তি রজুই দেখিতে থাকে, তাহার পক্ষে সপও কোথায় চলিয়া যায় । তাহা হইলে দেখা গেল, একটি মাত্র বস্তুই আছে, তাহাই নানারূপ বলিয়া প্রতীত হইতেছে । ইহাকে আত্মাই বল, আর বস্তুই বল, বা আর কিছুই বল,—জগতে কেবল একমাত্র ই হারই অস্তিত্ব আছে। অদ্বৈতবাদের ভাষায় বলিতে গেলে এই আত্মাই ব্রহ্ম,—কেবল নামরূপ-উপাধি-বশতঃ বহু প্রতীত হইতেছে । সমুদ্রের তরঙ্গ গুলির দিকে দৃষ্টিপাত কর, একটি তরঙ্গ ও সমুদ্র হইতে পৃথক নহে । তবে তরঙ্গকে পৃথক দেখাইতেছে কেন ? নাম- রূপ—তরঙ্গের –আকুতি,— —আর অণমরা উহাকে ‘তরঙ্গ ’ এই যে নাম প্রদান করিয়াছি, তাহাতেই উহাকে সমুদ্র হইতে পৃথক করিয়াছে । নাম-ৰূপ চলিয়া গেলেই উহা যে সমুদ্র ছিল, সেই সমুদ্রই রহিয়া যায় । তরঙ্গ ও সমুদ্রের মধ্যে কে প্রভেদ করিতে পারে ? অতএব এই সমুদয় জগৎ একস্বরূপ হইল । নাম-রূপই যত পার্থক্য রচনা করিয়াছে । যেমন স্বৰ্য্য লক্ষ লক্ষ জলকণার উপরে প্রতিবিম্বিত হইয়া প্রত্যেক জলকণার উপরেই স্বৰ্য্যের একটি পূর্ণ প্রতিকৃতি স্বষ্টি করে, তদ্রুপ সেই এক আত্মা সেই এক সত্ৰা ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে প্রতিবিম্বিত হইয়৷ নানারূপে উপলব্ধ হইতেছেন । কিন্তু বাস্তবিক উহ! এক । বাস্তবিক ‘আমি, বা ‘তুমি’ বলিয়া কিছুই নাই—সবই এক । হয় বল সবই আমি, না হয় বল সবই তুমি । এই দ্বৈতজ্ঞান সম্পূর্ণ মিথ্যা, আর সমুদয় জগৎ এই দ্বৈতজ্ঞানের ফল । যখম বিবেকের জ্ঞানে মামুষ দেখিন্তে পায়, দুইটি