পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৮ যোগতত্ত-বারিধি । سحبمسييسيستمي قصصدضعجيمي. ৰস্তু নাই, একটি বস্তু আছে, তখন তাহার উপলব্ধি হয়, তিনিই এই অনন্ত ব্রহ্মণগুস্বরূপ হইয়াছেন । আমিই এই পরিবর্তনশীল জগৎ, আমিই আবার অপরিণামী, নিগুণ, নিত্যপূর্ণ, নিত্যানন্দময় । অতএব নিত্যশুদ্ধ, নিত্যপূর্ণ, অপরিণামী, অপরিবর্তনীয় এক আত্মা আছেন – তাহার কখন পরিণয হয় নাই, আর এই সকল বিভিন্ন পরিণাম সেই একমাত্র আত্মাতেই প্রতীত হইতেছে মাত্র । উহার উপরে নাম-রূপ এই সকল বিভিন্ন স্বপুচিত্র অঙ্কিত করিয়াছে । আকৃতিই তরঙ্গকে সমুদ্র হইতে পৃথক করিয়াছে। মনে কর, তরঙ্গুটি মিলাইয়া গেল, তখন কি ঐ অণকৃতি থাকিবে ? না, উহা একেবারে চলিয়া যাইবে । তরঙ্গের অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে সাগরের তস্তিত্বের উপর নির্ভর করে, কিন্তু সাগরের অস্তিত্ব তরঙ্গের অস্তিত্বের উপরে নির্ভর করে না । যতক্ষণ তরঙ্গ থাকে, ততক্ষণ রূপ থাকে, কিন্তু তরঙ্গ নিবৃত্ত হইলে ঐ রূপ আর থাকিতে পারে না । এই নাম-রূপকেই মায়া বলে । এই মায়াই ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি স্বজন করিয়া একজনকে অণর একজন হইতে পৃথক বোধ করাইতেছে । কিন্তু ইহার অস্তিত্ব নাই । মায়ার অস্তিত্ব মাছে, বলা মাইতে পারে না। রূপের অস্তিত্ব আছে, বলা যাইতে পারে না, কারণ উহা অপরের অস্তিত্বের উপর নির্ভর করে । আবার উহা নাই, তাতাও বলা যাইতে পারে না, কারণ উহাই এই সকল ভেদ কনিয়াছে। অদ্বৈতবাদীর মতে এই মূiয় বা অজ্ঞান বা নাম-রূপ, অথবা ইয়ুরোপীয়গণেব মতে দেশকাল-নিমিত্ত, এই এক অনন্ত সত্ত্বা হইতে এই বিভিন্নরূপ জগৎসত্তা দেখাইতেছে ; পরমার্থতঃ এই জগং এক অখণ্ডস্বরূপ । যতদিন পর্য্যস্ত কেহ দুইটি বস্তুর কল্পনা করেন, তিনি লান্ত। যখন তিনি জানিতে পারেন, একমাত্র সন্তা আছে, তখন চ তিনি যথার্থ জানিয়াছেন । যতই দিন