পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । S \כיכ அக নুতন অধ্যায় আসিল, কিন্তু আত্মা যেমন তেমনই, অনন্ত স্বরূপ t প্রকৃতিই পরিণাম প্রাপ্ত ছইতেছেন, আত্মা নহেন । উইার কখন পরিণাম হয় না । জন্মমৃতু্য প্রকৃতিতে, তোমাতে নহে । তথাপি অজ্ঞেরা ভ্রান্ত হইয়া মনে করে, আমরা জন্মাইতেছি, মরিতেছি, প্রকৃতি নহেন । যেমন আমরা ভ্রান্তি বশতঃ মনে করি, স্বৰ্য্যই চলিতেছেন,— পৃথিবী নহে । এ সকল সুতরাং ভ্রান্তি মাত্র, যেমন আমরা ভ্রমবশতঃ রেলগাড়ীর পরিবর্তে মাঠকে সচল বলিয়া মনে করি। জন্ম-মৃত্যুও ঠিক এইরূপ । যখন মাহুষ কোন বিশেষরূপ ভাবে থাকে, তখন সে ইহাকেই পৃথিবী, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, তারা, প্রভৃতি বলিয়া দেখে, আর যাহারা ঐরূপ মনোভাবসম্পন্ন, তাহারণও ঠিক তাহাই দেখে । তোমার আমার মধ্যে লক্ষ লক্ষ লোক থাকিতে পারে, যাহারা বিভিন্ন প্রকৃতিসম্পন্ন । তাহারণও আমাদিগকে কখন দেখিবে না, আমরাও তাহাদিগকে কখন দেখিতে পাইব না । আমরা একরূপ চিত্তবৃত্তি-সম্পন্ন প্রাণীকেই দেখিতে পাই । সেই যন্ত্র গুলিই পরস্পর পরস্পরকে দেখিতে পায়, যেগুলি এক প্রকার কম্পনবিশিষ্ট । মনে কর, আমরা এক্ষণে যেরূপ প্রাণকম্পনসম্পন্ন, উহাকে আমরা মানবকম্পন নাম প্রদান করিতে পারি —যদি উহা পরিবর্তিত হইয়া যায়, তবে আর মনুষ্য দেখা যাইবে না, উহার পরিবর্তে অন্তরূপ দৃশু আমাদের সমক্ষে আসিবে;–হয়ত দেবতা ও দেবজগৎ, কিম্বা অসৎ লোকের পক্ষে দানব ও দানবজগৎ ; কিন্তু ঐ সকলগুলিই এই এক জগতেরই বিভিন্ন ভাব মাত্র । এই জগৎ মানবদৃষ্টিতে পৃথিবী, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, তারা প্রভৃতিরূপে, আবার দানবের দৃষ্টিতে দেখিলে ইহাই নরক বা শাস্তিস্থামরূপে প্রতীত হইবে। আবার স্বাহীরা স্বর্গে যাইতে চাহে, তাহারা এই স্থানকেই স্বর্গ বলিয়া দেখিবে । যাহারা সারাজীবন ভাৰিতেছে, আমরা স্বর্গসিংহাসনারূঢ়