পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミーの8 যোগতত্ত্ব-বারিবি । উড়িয়া যায় । শরীর চলিয়া যায়, তাহার সঙ্গে মনও চলিয়া যায় । সেই ব্যক্তির পকে সমুদয় জগতই যেন এক অব্যক্ত ভাব ধারণ করে । এই যে, শক্তিরাশির নিয়ত সংগ্রাম,—নিয়ত সংঘর্ষ, ইহা একেবারে স্থগিত হইয়া যায়,--আর যাহা শক্তি ও ভূতরূপে, প্রকৃতি বিভিন্ন চেষ্টা রূপে প্রকাশ পাইতে ছিল,—যাহ। স্বয়ং প্রকৃতিরূপে প্রকাশ পাইতেছিল, যাহা স্বর্গ, পৃথিবী, উদ্ভিদ, পশু, মাহুষ, দেবতা প্রভৃতিরূপে প্রকাশ পাইতেছিল, সেই সমদমই এক অনস্ত অচ্ছেদা, অপরিনামী সত্তারূপে পরিণত হইয়া যায়, আর জ্ঞানী পুরুষ দেখিতে পান, তিনি সেই সত্তার সহিত অভেদ । যেমন আকাশে নানা বর্ণের মেঘ আসিয়া থানিকক্ষণ খেলা করিয়া পরে অস্তহিঁত হক্টৰ্মা যায়—সেইরূপ এই আত্মার সম্মুথে পৃথিবী, স্বৰ্গ, চন্দ্রলোক, দেবতা, সুখ-দুঃখ প্রভৃতি আসিতেছে , কিন্তু উহারা সেই এক অপরিণামী নীলবর্ণ অণকণশকে আগমণদের সম্মুখে রাখিয়া অন্তর্তিত হয় । অণকাশ কখন পরিণাম প্রাপ্ত হয় না । মেঘই কেবল পরিণাম প্রাপ্ত হয় । ভ্রমবশতঃ অণমরা মনে করি, আমরা অপবিত্র, আমরা সশস্ত, আমরা জগৎ হইতে পৃথক । প্রকৃত মানুষ এই এক অখণ্ড সত্তাস্বরূপ । এক্ষণে দুইটি প্রশ্ন আসিতেছে । প্রথমটি এই,—এই অদ্বৈত জ্ঞান উপলব্ধি করা কি সম্ভব ? এতক্ষণ পর্য্যন্তত মতের কথা হইল, ইহার অপরোক্ষান্তভূতি কি সম্ভব ? হুঁ, সম্পূর্ণই সম্ভব। এমন অনেক লোক সংসারে এখনও জীবিত, র্যাহীদের পক্ষে অজ্ঞান চিরদিনের মত চলিয়া গিয়াছে । ইহঁণর কি এই সত্য উপলব্ধি করিবার পরই মরিয়া যান ? আমরা যত শীঘ্ৰ মনে করি, তত শীঘ্র নয় । এক কাষ্ঠখণ্ড-সংযোজিত দুইটি চক্র একত্রে চলিতেছে ; যদি আমি একখানি চক্র ধরিয়া সংযোজক কাষ্ঠখণ্ডটি কাটিয়া ফেলি, তবে আমি যে চক্রখানি ধরিয়াছি,