পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ২৩৫ _ خاکستاتينيسياسييzaman.sugge _காணவின் তাহা থামিয়া যাইবে, কিন্তু অপর চক্রের উপর পূর্বপ্রদত্ত বেগ রহিস্বাছে, সুতরাং উহা কিছুক্ষণ গিয়া তবে পড়িয়া যায় । পুর্ণ ও শুদ্ধস্বরূপ আত্মা যেন একখানি চক্র, আর এই শরীর-মনোরূপ ভ্রাস্তি আর একটি চক্র, কৰ্ম্মরূপ কাষ্ঠখণ্ড দ্বারা যোজিত । জ্ঞানই সেহ কুঠার, যাহা ঐ দুইটির সংযোগদণ্ড ছেদন করিয়া দেয় । তখন আত্মরূপ চক্র স্থগিত হইয়া যাইবে,—-তখন আত্মা আসিতেছেন, যাইতেছেন অথবা তা হার জন্ম-মৃত্যু হইতেছে, এসকল অজ্ঞানের ভাব পরিত্যাগ করিবেন। অণর প্রকৃতির সহিত র্তণ হার মিলিত ভাব এবং অভাব-বাসন সব যাইবে,--তখন আত্মা দেখিতে পাই বেন, তিনি পূর্ণ বাসনাবিরহিত । কিন্তু শরীর-মনোরূপ অপর চক্রে প্রাক্তন কৰ্ম্মের বেগ থাকিবে । সুতরাং যতদিন না এই প্রাক্তন কৰ্ম্মের বেগ একেবারে নিবৃত্তি হয়, ততদিন উহ থাকিবে । ঐ বেগ নিবৃত্তি হইলে শরীরমনের পতন হইবে,–তখন আত্মা মুক্ত হইবেন । তখন অণব স্বগে যাওয়া বা স্বগ হইতে ফিরিয়| আসা, এমন কি, ব্রহ্মলোকে গমন পর্য্যন্ত স্থগিত হইয়া যাইবে,—তিনি কোথা হইতে আসিবেন, কোথায়ই বা যাইবেন ? যে ব্যক্তি এই জীবনেই এই অবস্থা লাভ করিয়াছেন, র্যাহার পক্ষে অস্ততঃ এক মিনিটের জন্তও এই সংসারদৃশ্ব পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গিয়া সত্য প্রতিভাত হইয়াছে, তিনি জীবন্মুক্ত বলিয়া, কথিত হন । এই জীবন্মুক্তি-অবস্থা লাভ করাই বেদস্তীর ( লয়যোগীর ) লক্ষ্য । এক সময়ে আমি ভারতমহাসাগরের উপকূলে ভারতের পশ্চিম ভাগস্থ মর খণ্ডে ভ্রমণ করিতেছিলাম । আমি অনেক দিন ধরিয়া পদব্রজে মৰ্বতে ভ্রমণ করিলাম, কিন্তু প্রতিদিন এই দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইলাম যে, চতুৰ্দ্দিকে সুন্দর সুন্দর হ্রদ রহিয়াছে, তাতাদের সকল গুলির