পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ২৫৫ ঐরূপ করিতে হইবে, তাহার কোন সময় নির্ণয় নাই,—তাহারা যতদিন চরমোৎকর্ষ লাভ না করে । মানবের বাসনা বা বৃত্তিসমুদ্রয়ের সৰ্ব্বোচ্চ গতি ভগবান,—তদ্ভিন্ন অন্য সমুদয় গতিই নিম্নাভিমুখী । আমাদের জীবনে মুখ ও দুঃখ পুনঃপুনঃ ঘুরিয়া ফিরিয়া আসিতেছে। যখন কোন লোক ধন অথবা ঐরূপ কোন সাংসারিক বস্তুর অপ্রাপ্তি হেতু দুঃখ অনুভব করে, তখন বুঝিতে হইবে, সে তাহৱে বৃত্তিকে অসৎপথে পরিচালিত করিতেছে । ভগবানকে পাইলাম না--কবে পাইব—কোথায় পাইব—কেমন । করিয়া পাইব, ইত্যাদি চিন্তা ও তজ্জনিত দুঃখ মুক্তিপথে লইয়া যাইবার পস্থণস্বরূপ হইবে । শিষ্য । আমি কিন্তু যে প্রশ্ন করিয়াছিলাম, তাহার উত্তর পশই নাই । গুরু । সেই প্রশ্নের উত্তর দিবার জন্যই আমি ঐ সকল কথা বলিয়াছি,—এইবার যাহা বলিব, তাহাতেই তুমি তোমার প্রশ্নোত্তর পাইবে । যে কথা বলিব, তাহা একজন যোগীর হৃদয়-নিহিত সিদ্ধবাক্যের প্রতিধ্বনি । তাহা এই—“প্রথমে সমষ্টিকে ভালবাসিতে না শিখিলে ব্যষ্টিকে ভালবাসা যায় না । ঈশ্বরই সমষ্টি । সমগ্র জগৎটাকে যদি এক অখণ্ডস্বরূপে চিন্তা করা যায়, তাহাই ঈশ্বর । আর জগৎটাকে যখন পৃথক পৃথক রূপে দেখা যায়, তখনই উহা জগৎ— ব্যষ্টি । সমষ্টিকে—সেই সৰ্ব্বব্যাপীকে—যে এক অখণ্ড বস্তুর মধ্যে ক্ষুদ্রতর অখণ্ড বস্তুসমূহ অবস্থিত, তাহাকে ভালবণসিলেই সমগ্র জগৎকে ভালবাসা সম্ভব। ভারতীয় দার্শনিকগণ ব্যষ্টি লইয়াই ক্ষান্ত নহেন –ৰ্তাহারা ব্যষ্টির দিকে ক্ষিপ্রভাবে দৃষ্টিপাত করেন, এবং : তৎপরেই ব্যষ্টি বা বিশেষ ভাবগুলি যে সকল সাধারণ ভাবের অন্তর্গত,