পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৩ যোগতত্ত্ব-বারিধি । ம்ம்ம்பக তাহাদের অন্বেষণে প্রবৃত্ত হন । সৰ্ব্বভূতের মধ্যে এই সাধারণ ভাব অন্বেষণ ষ্ট ভারতীয় দশন ও ধৰ্ম্মের লক্ষ্য । যাহাকে জানিলে সমুদয় জানা যায়,—সেই সমষ্টিভূত, এক, নিরপেক্ষ, সৰ্ব্বভূতের মধ্যগত, সাধারণভাবস্বরূপ পুরুষকে জানাই জ্ঞানীর লক্ষ্য | র্যাহাকে ভালবাসিলে এই চরাচর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতি ভালবাস জন্মে, ভক্ত সেই সৰ্ব্বগত পুরুষ-প্রধানকে সাক্ষাৎ উপলব্ধি করিতে চাহেন,—যণহণকে জয় করিলে সকলকে জয় করা যায় । ভারতবাসীর মনের গতির ইতিহাস পর্য্যবেক্ষণ করিলে জানা যায়, কি জড়বিজ্ঞান, কি মনোবিজ্ঞান, কি ভক্তিতত্ত্ব, কি দর্শন, সৰ্ব্ববিভাগেই উহা চিরকালই এই বহুর মধ্যে এক সৰ্ব্বগত তত্ত্বের এই অপূৰ্ব্ব অন্তসন্ধানে ব্যস্ত । এই সব ভাবিয়া ভক্ত এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হন যে, যদি তুমি একে একে একজনের পর আর একজনকে ভালবাসিতে থাক, তবে তুমি অনন্তকালের জন্ত উত্তরোত্তর অধিকসংখ্যক ব্যক্তিকে ভালবাসিয়া যাইতে পার,—কিন্তু সমগ্র জগৎকে একেবারে ভালবসিতে কখনই সমর্থ হইবে না । কিন্তু অবশেষে যখন এই মূল সত্য অবগত হওয়া যায় যে, ঈশ্বর সমুদয় প্রেমের সমষ্টি স্বরূপ, যে মুক্ত, মুমুক্ষ, বদ্ধ, জগতের সকল জীবাত্মার আকাঙ্ক্ষণসমষ্টিই ঈশ্বর,— তখনই তাহার পক্ষে সাৰ্ব্বজনীন প্রেম সম্ভব হইতে পারে। ভগবান সমষ্টি এবং এই পরিদৃশ্যমান জগৎ ভগবানের পরিচ্ছিন্ন ভগব—ভগবানের অভিব্যক্তি মাত্র । সমষ্টিকে ভালবাসিলেই সমুদয় জগৎকে ভালবাসা হইল । তখনই জগতের প্রতি ভালবাসা ও জগতের হিতসাধন, সবই সহজ হইবে। প্রথমে ভগবৎ-প্রেমের দ্বারা আমাদিগকে এই শক্তি লাভ করিতে হইবে, নতুবা জগতের হিতসাধন পরিহাসের বিষয় নহে । ভক্ত বলেন,—“সমুদয়ই র্তার, তিনি আমার প্রিয়তম,—আমি তাহাকে