পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । ૨0 છે _ অপরের সেবার জন্যই ধন, এমন কি প্রাণ পৰ্য্যস্ত উৎসর্গ করিতে সদা প্রস্তুত হইয়া থাকেন। এই জগতে মৃত্যুই একমাত্র সত্য— এখানে যদি আমাদের দেহ কোন অসৎকার্য্যে না গিয়া সৎকার্য্যে যায়, তবে তাহাই খুব ভাল বলিতে হইলে । আমরা কোনরূপে পঞ্চাশ, জোর একশত বৎসর বাচিতে পারি,—কিন্তু তারপর ? তারপর কি হয় ? যে কোন বস্তুমিশ্রণে উৎপন্ন, তাহাই বিশ্লিষ্ট হইয়া বিনষ্ট হইয়া যায় । এমন সময় আসিবে, যখন বিশ্লিষ্ট হইবেই হইবে । ঈশা মরিয়াছেন, বুদ্ধ মরিয়াছেন, মহম্মদ মরিয়াছেন । জগতেব সকল বড় বড় মহাপুরুষ এবং আচার্য্যেরাও মরিয়াছেন । ভক্ত বলেন,-- এই ক্ষণস্থায়ী জগতে, যেখানে সবই ক্রমশঃ ক্রমশ: ক্ষয় হইতেছে, এখানে আমরা যতটুকু সময় পাই, তাহারই সদ্ব্যবহার করা কর্তব্য । আর বাস্তবিকই জীবনের সর্বপ্রধান কাৰ্য্য, জীবনকে সৰ্ব্বভূতের সেবায় বিনিয়োগ করা । এই ভয়ানক দেহাত্মবুদ্ধিই জগতে সৰ্ব্বপ্রকার স্বার্থপরতার মূল। আমাদের মহাত্ৰম এই যে, আমাদের এই শরীরটি অামি,—আর যে কোন প্রকারে হউক, উহাকে রক্ষণ ও উহার স্বচ্ছনতাবিধান করিতে হইবে। যদি জানিতে পার, তুমি শরীর হইতে সম্পূর্ণ পৃথক, তবে এই জগতে এমন কিছুই নাই, যাহার সহিত তোমার বিরোধ উপস্থিত হইবে । তখন তুমি সৰ্ব্ব প্রকার স্বার্থপরতার অতীত হইয়া গেলে। .এইজন্য ভক্ত বলেন,—আমাদিগকে জগতের সকল পদার্থ সম্বন্ধে মৃতবং থাকিতে হইবে এবং উহাই বাস্তবিক আত্মসমপণ —শরণাগতি—যাহা হইবার হউক ।–“তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হউক’— এই বাক্যের অর্থই এই প্রকার আত্মসমপণ বা শরণাগতি । সংসারের সহিত সংগ্রাম করা এবং সঙ্গে সঙ্গে মনে করা, ভগবানের ইচ্ছাত্র-মেই আমাদের দুর্বলতা ও সাংসারিক আকাঙ্ক্ষণ জন্মিস থাকে । নির্ভরেব