পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਸ੍ਤ S b^9 যোগতত্ত্ব-বারিধি । = নাম জানা যায় । পাচ বা স্কতোধিক পদযুক্ত মন্ত্রগুলি তিনভাগে বিভক্ত । ( ১ ) প্রণব ; ( = ) বীজ ( মন্ত্রের উদেশ্বজ্ঞাপক তত্ত্ব ) ; ( ৩ ) দেবতার নাম । সকল মন্ত্র প্রণব হইতে আরম্ভ নহে । কিন্তু যে গুলি প্রণব হইতে আরম্ভ, সেই গুলি, সেই দেবতার অতি পবিত্র মন্ত্র । কারণ, প্রণবই সকল মস্ত্রের অাদি । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । -saటి రిrsూతా মস্ত্রের উদ্দেশ্য ও বিভাগ । গুরু । অত:পর তোমার নিকটে মস্থের উদ্দেশ্য ও বিভাগের কথা বলিব । ময়ের উদেহু অনন্ত । আত্মোন্নতিই মানবের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া কৰ্ত্তব্য । তদ্ভিন্ন অন্যান্য কার্য্যে ফললাভের নিমিত্ত ও মন্ত্র ব্যবহৃত হইয়া থাকে । তন্ত্রশাস্ত্রে যে প্রধান ষট কৰ্ম্মের উল্লেখ আছে, তাহাও মন্ত্রের দ্বারা সম্পন্ন হয়। শাস্তিকৰ্ম্ম, বশীকরণ, স্তম্ভন, বিদ্বেষণ, উচ্চাটন ও মারণ, এই মট, কৰ্ম্ম । যে কৰ্ম্ম দ্বারা রোগ, কুকৃত্যা ও গ্রহাদি দোষ শান্তি হয়, তাহাকে শাস্তিকৰ্ম্ম বলে । যাহাতে প্রাণিগণ বশীভূত হয়, তাহাকে বশীকরণ বলে । যে কৰ্ম্মম্বারা প্রাণীর প্রবৃত্তি রোধ হয়, তাহার নাম স্তম্ভন ; এবং যাহাতে পরস্পর প্রণয়ী ব্যক্তিদিগের প্রণয় ভঞ্জন হইয়া উভয়ের মধ্যে বিদ্বেষ উৎপন্ন হয়, তাহাকে বিদ্বেষণ বলে । যে কৰ্ম্ম দ্বারা কোন ব্যক্তিকে স্বীয় দেশদি হইতে ভ্ৰষ্ট করা যায়, তাহার নাম উচ্চাটন, এবং যাহাতে প্রাণিবর্গের প্রাণবধ করা যায়, তাহণকে মারণ ৰলে, তদ্ভিন্ন আকর্ষণ ও আপ্যায়ন দুই প্রকার কৰ্ম্ম আছে।