পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇసాe যোগতত্ত্ব-বারিধি । -ம்க মন্ত্র অনেক স্থলে প্রক্ষিপ্ত বা অজ্ঞ লোবের দ্বারাও গ্রথিত বীজম্বারা পুর্ণ হইয়াছে। সেইজন্ত কোন মন্ত্র দ্বারা কাৰ্য্য করিতে হইলে বা কোন মন্ত্রে দীক্ষিত হইতে হইলে, মন্ত্র সংশোধন করা কৰ্ত্তব্য । মন্ত্রশাস্ত্রে কথিত হইয়াছে, মন্ত্রগুলি পঞ্চাশভাগে বিভক্ত । ইহণদের মধ্যে অধিকাংশই অতি সামান্ত বিভাগ, তাহ ধৰ্ত্তব্যের মধ্যেই নহে । কেবল চারিটি বিশেষ অবিশ্বকীয় । যথা—ছিন্ন, রুদ্ধ, শক্তিহীন এবং বধির । ছিন্ন শব্দের অর্থ ভঙ্গ । ইহা দ্বারা বায়ুমন্ত্রের কার্য্যকারিতা জানিতে পারা যায় । বায়ুমন্ত্র, এই শব্দের অর্থ বায়ুৰীজাক্ষর যুক্ত মন্ত্র । অর্থাৎ যে মন্থের আদি অন্তে বা মধ্যে য কিম্বা মধ্যে একটি যুক্তাক্ষর অথবা তিন চারি বা স্বরবর্ণ থাকিবে । রুদ্ধ,—অর্থ অবরোধ, বাধা দেওয়া । ইহা পৃথ্বীবীজাক্ষরের (ল ) ভ্ৰমণত্মক । পরে পরে তুইবার থাকিবে । শক্তিহীন,—অর্থক্ষমতাশূন্ত । মায়াবীজ, শ্ৰীবীজ অথবা প্রণব, ইহাই কোন যমে দেখিতে পাওয়া যায় । বধির,—অর্থ কালা । অর্থাৎ যে মন্ত্রের আদি ও অস্তে অকুস্বার আছে, তাহাকেই বধির বলা যায় । যদি কোন মন্ত্রে অধিক সংখ্যক পদ থাকে, তবে তাহাকেও ভ্ৰমণত্মক বলিতে পারা যায়। প্রায় মস্ত্রেই কিছু না কিছু ভ্রম দৃষ্ট হয় । এই কারণে একদল উপাসক বলেন যে, এই সকল ভ্রম ইচ্ছা করিয়াই করিয়া রাখা হইয়াছে। আর একদল বলেন,—কাৰ্য্যগতিকে হইয়। যায় । যাহা হউক, ময়সিদ্ধি লাভ করিতে হইলে এবিষয়ে বিশেষ সতর্ক হওয়া কৰ্ত্তব্য । নতুবা সমস্তই ভ্ৰমাত্মক হইবে এবং অভীক্সিত ফললাভ করা দুরূহ হইবে । যে সকল মস্ত্রে অতি সামান্ত ভ্রম আছে, অথবা কিছুই ভ্রম নাই, সেই সকল মন্ত্র জ্ঞানী ঋষিগণ কর্তৃক গঠিত এবং