পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&asbr যোগতত্ত্ব-বারিধি । কুশদ্বারা মেসমেরিক জলসেচন করিতে হয় । শেষোক্ত ক্রিয়ার নাম আপ্যায়ন,--ইহণদ্বারা মস্ত্রের সদসৎ কার্য্যের সামঞ্জস্য হয় । এই ফলপ্রাপ্তিকামনায় অণর একটি কার্য্য করিতে হয়, তাহার নাম তৰ্পণ । তৰ্পণ কাহাকে বলে ? যে ভূৰ্জপত্রে মন্ত্রটি লিখিত হয়, তাহার উপর মেসমেরিক দুগ্ধ, দধি, স্থত, মধু, চিনি ও জল মিশ্রিত করিয়া প্রদান করিতে হয় । নিম্ন প্রক্রিয়া দ্বারা উপাসক সেই মন্তের দেবতাকে আপনার ইচ্ছাধীন করিতে পারেন । অর্থাৎ দীপন ও গোপন, গোপন ক্রিয়া দ্বারা দেবতাকে উপাসক স্ববশে আনিতে পারেন । মন্ত্রের সহিত বীজ একত্রিত করিলে উহার শক্তি বৃদ্ধি হয় । চতুর্থ পরিচ্ছেদ । -ー>○●=ー মন্ত্র গ্রহণ ও সাধন । শিষ্য । অতঃপর মন্ত্র গ্রহণ ও মস্ত্রের সাধনাবিষয়ে কিছু উপদেশ প্রদান করুন । গুরু । প্রত্যেক উপাসককে মন্ত্রসাধনা করিবণর জন্য এক উন্নতআত্মা গুরুর নিকটে মন্ত্র গ্রহণ করিতে হয় । গুরুর নিকটে মন্ত্র গ্রহণ করিবার দুইটি উদ্দেশ্য আছে, এক, মস্ত্রে গুরুর উন্নত শক্তিসহযোগে গ্রহণ ৷ দ্বিতীয় মন্ত্রনিৰ্ব্বাচন । মন্ত্র অভ্যাস করিবার পূৰ্ব্বে সাধকের জানা আবশ্বক যে, তাহার কৰ্ম্ম তাহাকে সেই মন্ত্র অভ্যাস করিতে দিবে কি ন? ? অর্থাৎ তাহার পূৰ্ব্বকৃত কৰ্ম্ম, তাহার সেই মন্ত্র অভ্যাস করিবার পক্ষে অহুকুল কি