পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । Rసెని πjumbμωüμπωσα πω না । কেহই কৰ্ম্মের বিরুদ্ধে চলিতে পারে না । কথিত আছে, বিদ্যারণ্য যখন ধন ও সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করিয়া গায়ত্ৰী অভ্যাস করিয়াছিলেন, তখন তিনি কৃতকার্য্য হইতে পারেন নাই । অবশেষে তিনি এমন কার্য্য করিতে আরম্ভ করেন, যাহাতে কৰ্ম্মফল ধবংস হয় । এই প্রকারে পূর্বকৰ্ম্ম ধ্বংস করিয়া তখন পুনরায় গায়ত্ৰী-দেবতাকে আহিলান করেন ও সফলতা লাভ করেন । গায়ত্ৰী-দেবতা বিদ্যারণ্যকে বলিয়া দেন যে, সে জন্মে তিনি অভীপিসত ফল প্রাপ্ত হইবেন না । কারণ, তাহার পূৰ্ব্বজন্মকত কৰ্ম্ম তাহকে সেই ফল পাইতে দিবে না । তিনি তজ্জন্য সংসার ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইলেন । সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণ করা ও দ্বিতীয় বার জন্ম গ্রহণ করা একই কথা । এই জন্ত সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে নূতন নাম ধারণ করিতে হয় । বিদ্যারণ্য সন্ন্যাসী হইবার পরে রাজা তাহণকে প্রধান মন্ত্রীর পদ প্রদান করেন । এই গল্পে বুঝিতে পারা যায় যে, বিদ্যারণ্য সন্ন্যাসী হইলে, দ্বিতীয় বার জন্ম গ্রহণের স্বরূপ হইল ও পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মফল ধ্বংস হইল, তথন সাধনফলে ধন, সম্পত্তি ও সস্ত্রম প্রাপ্ত হইলেন । কোন সাধক পূৰ্ব্বকৃত কৰ্ম্ম-অনুসারে কোন মন্ত্র অভ্যাস করিতে পরিবেন, তাহ জ্যোতিষশাস্ত্রের সাহায্যে জানিতে পারা যায়। যদি র্তাহার কুষ্ঠা বা ঠিকুজী দ্বারা জানিতে পারা যায় যে, তিনি মন্ত্রের উপর আধিপত্য করিতে পারিবেন, তবেই তিনি ঐ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবেন, নচেৎ নহে । কুষ্ঠা আদি দেখিয়া এবং মন্ত্রশাস্ত্ৰমতে মিলাইয়া দেখিয়া যখন জানিতে পারা গেল যে, তিনি অমুক মন্ত্রের অধিকারী, তখন সেই মন্ত্র গ্রহণ করিলে, নিজেই তা হার রহস্যভেদে সক্ষম হইবেন । ৯ এই সকল গণ-পড়ণকে মন্ত্রশস্ত্রে চক্রগদির বিচার বলে । মন্ত্রযোগের আরম্ভ হইতে অণর শেষ পর্য্যন্ত মাহ কিছু গণিতে হয়,