পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V) >やう যোগতত্ত্ব-বারিধি । উপায় যাহা, তাহাই রাজযোগ । রাজরোগীর মতে এই সমুদায় বহির্জগৎ সূক্ষ্ম-জগতের স্কুল বিকাশ । সৰ্ব্বস্থলেই সূক্ষ্মকে কারণ ও স্কুলকে কাৰ্য্য বুঝিতে হইবে । এই নিয়মে বহির্জগৎ কার্ষ্য ও অন্তর্জগৎ কারণ । এই হিসাবেই স্থলজগতে পরিদৃশুমান শক্তিগুলি আভ্যন্তরিক স্বক্ষ তর শক্তির সুলভাগমাত্র । যিনি এই অভ্যন্তরিক শক্তিগুলিকে চালাইতে শিখিয়াছেন, তিনি সমুদয় প্রকৃতিকে বশীভূত করিতে পারেন । যোগী, সমুদয় জগৎকে বশীভূত করা ও সমুদয় প্রকৃতির উপর ক্ষমতা বিস্তার করণকেই অণপন কৰ্ত্তব্য বলিয়া গ্রহণ করেন । তিনি এমন এক অবস্থায় যাইতে চাহেন, যেখানে প্রকৃতির নিয়মাবলি র্তাহার উপর কোন ক্ষমতা বিস্তার করিতে পরিবে না, এবং যে অবস্থায় যাইলে তিনি ঐ সমুদয়ই অতিক্রম করিয়া যাইবেন । তথন তিনি আভ্যন্তরিক ও বাহ সমুদায় প্রকৃতির উপর প্রভুত্ব পান । মানবজাতির উন্নতি ও সভ্যতা, এই প্রকৃতিকে বশীভূত করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে । রাজ যোগের সাধনায় মানুষ উহা করিতে পারে । কিন্তু ইহা ক্রমশঃ ও দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া অভ্যাস করিতে হয় । দুই এক দিন চেষ্টা করিয়া ফিরিয়া পড়িলে কখনই একাৰ্য্য সমধা হয় না । এখন যোগ-সাধনার প্রয়োজন কি, তাহণতে কি ফলই বা লাভ হয়, এবং কোন সম্প্রদায়ের লোকই বা ইহার অধিকারী, তৎসম্বন্ধে কিছু প্রমাণের আবশ্বক । হিন্দুশাস্ত্র বলেন,—যোগসাধনায় সম্প্রদায়িকতগর গণ্ডী নাই । সৰ্ব্ব বর্ণ এবং সৰ্ব্ব সম্প্রদায় ইহার সাধনে অধি'কারী । যোগসাধনার ফলে মানুষ প্রকৃত মানুষ হয় । যোগসাধন না করিলে প্রকৃত আত্মজ্ঞান লাভ হইতে পারে না । যোগবীজ নামক গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে যে,—