পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రి:R శి যোগতত্ত্ব-বারিাধ । স চ যোগাগ্নিনা দগ্ধসমস্তক্লেশসঞ্চয়: । নিৰ্ব্বাণং পরমং নিত্যং প্রণপ্নোত্যেব ন সংশয়ঃ ॥ সংপ্রাপ্তযোগসিদ্ধিস্তু পূর্ণে যত্ত্বাত্মদর্শনীং । ন কিঞ্চিদৃশ্বতে কাৰ্য্যং তেনৈব সকলং কৃতম্ ॥ আগস্মণরামঃ সদা পূর্ণঃ মুখমণত্যস্তিকং গতঃ { অতস্তস্ত্যাপি নিৰ্ব্বেদঃ পরানন্দময়স্য চ | তপসা ভাবিতণস্থানে যোগিন: সংযতেন্দ্রিয়াঃ । প্রতরস্তি মহাত্মানো যোগেনৈব মহার্ণবম্ ॥ যাহতে পরম শান্তি লাভ হইতে পারে, মতিমান ব্যক্তি সেইরূপ যত্ব করিবে । পরন্তু কেবল যোগ দ্বারাই ঐ পরমণ শক্তি লাভ হইতে পারে, অন্ত কোন প্রকারে উহা লাভ করা যায় না । যাহারা সংসারতাপে পরিতপ্ত হইয়াছে, তাহাদিগের পক্ষে যোগই পরম ঔষধ ষণহার সংসারে বিরক্তি জন্মিয়াছে, এবং বুদ্ধিও পরম ব্রহ্মে আসক্ত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি যোগাগ্নিদ্বারা সমস্ত ক্লেশ দগ্ধ করিতে পারে, এবং নিঃসংশয় নিৰ্ব্বাণপদ পাইয়া থাকে। যে ব্যক্তি আত্মজ্ঞান লাভ করিয়া সম্পূর্ণ যোগসিদ্ধি করিয়াছে, সে কোন কার্য্যই অবশিষ্ট বিবেচনা করে না, তাহার সকল কাৰ্য্যই সাধিত হইয়াছে এবং সে সৰ্ব্বদা আত্মজ্ঞান-সুখে সস্তুষ্ট থাকিয়া আত্যন্তিক সুখলাভ করে। অতএব সেই পরমানন্দ যোগীর সংসার-বিরক্তি জন্মে। যাহারা তপস্তাদ্বারা আত্মাতে নিযুক্ত হইয়া ইন্দ্রিয়গণকে সংযত করিয়াছেন, সেই সকল মহাত্মা যোগিগণ যোগদ্বারাই সংসাররূপ মহাসাগরের পার হইতে পারেন । বিষ্ণুপুরাণে লিখিত হইয়াছে,— যচ্ছে য়ং সৰ্ব্বভূতানাং স্ত্রণামপু্যপকারকমু । অণি কীটপতঙ্গণনাং তন্নঃ শ্রেয়ঃ পরং বদ ।