পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ যোগতত্ত্ব-বারিধি । நாதும் ജ്ജ് আমরা এক জটিল অদ্ভূত রহস্য বলিয়া" বিবেচনা করিয়া লইয়াছি । কাজেই তাহার সেই অদ্ভূত জটিল তত্ত্ব খুজিয়া মিলাইতে পারি না । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । ষে গণসুশাসন । শিষ্য । এখন বলুন, রাজযোগ কি ও তাহার সাধনায় ফল কি ? শুরু । রাজযোগের আদি গুরু মহর্ষি পতঞ্জলি । তাহার প্রণীত “পতঞ্জলসূত্র” রাজযোগের শাস্ত্র ও সৰ্ব্বোচ্চ প্রামাণিক গ্রন্থ । ইহাতে রাজযোগের সাধন-প্রণালী যাহা লিখিত হইয়াছে, তাহ সমস্ত যোগীরাই অকুমোদন করেন । অতএব আমরা সেই গ্রন্থেরই সাধন-প্রণালী প্রভৃতি আলোচনা করিব । প্রথমে জানিবার অর্ণবস্ত্যক যোগ কি ? শাস্ত্র বলেন,--- যোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ । চিত্তের বৃত্তি নিরুদ্ধ করার নাম যোগ । চিত্ত অর্থে মন । অতএব মনোবৃত্তি রুদ্ধ করার নাম যোগ । কথাটা ভাল বুঝা গেল না । মনের বৃত্তি কি, আর তাহার রোধ করাই বা কি ? বিষয়-সম্বন্ধ হেতু চিত্তের যে পরিণতি, তাহাই বৃত্তি । তোমার শ্রবণেন্দ্রিয় কর্ণ, কিন্তু বাস্তবিকই কি কাণ শোনে ? না, মনই শোনে । কাণ গৌণ যন্ত্রমাত্র। তুমি আমার কথায় মনঃসংযোগ করিয়াছ, আমার কথা বেশ শুনিতে পাইতেছ, বাহিরে কি হইতেছে, তাহা শুনিন্ডে পাইতেঁছ না,—কেন না, সে দিকে মন দণও নাই ।