পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগ }ত্ত্ব-বারিধি । ৩২৩ ৰাহিরের দিকে মন দাও, বহিরে কি হইতেছে, শুনিতে পাইবে, কিন্তু আমার কথা শুনিতে পাইবে না । মন-ইন্দ্রিয় সংযুক্ত না হইলে তাহার কার্য্য হয় না । অতএব মনকে বিভিন্ন প্রকার আকারে পরিণত হইতে না দেওয়াই যোগ । মনের বৃত্তি অসংখ্য । কিন্তু যোগিগণ তাহাদিগের পাচ প্রকার অবস্থা বলিয়া বর্ণনা করেন । সেই পাচ প্রকার অবস্থার নাম—ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ। ক্ষিপ্ত,—বিষয়-বাসনায় মন চারিদিকে ধাবিত হওয়া,—একটি ছাড়িয়া অষ্ঠাটিতে চালিত হওয়া, এবং লালসা লইয়া অস্থির থাকাকেই মনের ক্ষিপ্তণবস্থা বলে । মূঢ়,—অপরের অনিষ্ট কামনা, নিদ্রাতন্দ্রাদির অধীন থাকা, এবং অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন থাকাকে মনের মূঢ়াবস্থা বলে। বিক্ষিপ্ত,—নিজ কেন্দ্রের দিকে যখন মন যাইবার চেষ্টা করে, তখনই তাহার বিক্ষিপ্ত বস্থা । অর্থাৎ পূৰ্ব্বেণাক্ত ক্ষিপ্ত-অবস্থায় মন আছে, কিন্তু মধ্যে মধ্যে স্থির হয়, জ্ঞানের অালোকে উদ্ভাসিত হয়, চিরাভ্যস্ত চঞ্চলত পরিত্যাগ করে, কিন্তু পুনরায় আবার ক্ষিপ্তাবস্থায় গমন করে, তখনই তাহ কে বিক্ষিপ্তাবস্থা বলে । এক গ্র,—মন যখন রজস্তমোবৃত্তিকে অভিভূত করিয়া কেবল সাত্ত্বিকভাব অবলম্বন পূর্বক নিৰ্ব্বাতস্থ নিশ্চল নিষ্কম্প দীপশিখার ন্যায় স্থিরভাবে থাকে, তখনই তাহাকে এক গ্র বলে । নিরুদ্ধ,—মন নিজ কণর ণীভূত প্রকৃতিতে প্রেলীন থাকিলে, সেই অবস্থাকে নিরুদ্ধ অবস্থা বলে । o যোগের দ্বারা মানুষের চিত্ত ক্রমে এক গু হইতে এই নিকদ্ধ অবস্থায় আগমন করে । চিত্তবুত্তিকে এই নিরুদ্ধ-অবস্থায় আনিবার