পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| যোগতত্ত্ব-বাধি جنف: 8 אס\ জন্যই যোগসাধনা করা । ক্ষিপ্তচিপ্ত, ੇਿਫ বা বিক্ষিপ্তচিত্ত লইয়া আমরা জন্মের পর জন্ম ঘুরিয়া মরিতেছি,—যোগের দ্বারা চিত্তবৃত্তিকে ঐ অবস্থাত্রয় হইতে একাগ্রতায় আনয়ন করিতে হয়,—তারপর নিরুদ্ধাবস্থায় লইতে হয় । মনকে এই নিরুদ্ধ অবস্থায় আনয়ন করাই যোগ । মন নিরুদ্ধ অবস্থায় অগসিলে কি হয় ? তদা দ্রষ্ট, স্বরূপে বস্থানম ৷ তাহা হইলে দ্রষ্ট অর্থাৎ পুরুষের বা আত্মার স্বরূপে অবস্থান হয় । মন যখন আত্মপ্রকৃতিকে প্রলীন থাকিল, তখন অণন্ত্ৰা স্বরূপে অবস্থিত হইলেন —মন শান্ত হইল, তাহার চঞ্চলত গেল । তখন আত্মা কাজেই স্বরূপে অবস্থিত হইবেন । নদীর প্রবাহ শাস্ত হইলে তখন তাহার তলদেশ দেখা যাইবে । বৃত্তি-সারূপ্যমিতরত্র ॥ এই নিরুদ্ধাবস্থা ব্যতীত অন্য সময়ে. আত্মা বৃত্তির সহিত একীভূত হইয়া থাকেন । যেহেতু বিষয়ের সহিত চিত্তের পরিণতি হইয়া তাহা চিন্তা-তরঙ্গে আত্মসমীপে উপনীত হয়, এবং আত্মা তাহাতে মিশ্রিত হইয়া সুখদুঃখ অন্তভব করেন । মনে কর, একজন আমাকে গালি দিল, আমি রাগ করিলাম—ইহা চিত্তের বৃত্তি। মন এই অনুভব-জনিত সংস্কার আরও অভ্যন্তরে বহন করিয়া নিশ্চয়াত্মিক বুদ্ধিতে অর্পণ করিল। বুদ্ধিতে গিয়া উহা আঘাত করিলে বুদ্ধি হইতেও যেন একটি প্রতিক্রিয়া হইল। এই প্রতিক্রিয়ার সহিত অহংভাব জাগিয়া উঠে । আর এই ক্রিয় ও প্রতিক্রিয়ার সমষ্টি পুরুষ—বা জীবাত্মার নিকটে অর্পণ করিল । তিনি তখন ইহার জন্য দুঃখ অনুভব করিলেন । ,