পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}োগতত্ব বারিধি । \3A4 காயகற --ജ്--ജ് فـاسعـ "Φππα கற বৃত্তয়: পঞ্চতথ্যঃ, ক্লিষ্ট অক্লিষ্টাঃ । সেই মনের বৃত্তি—পাচ প্রকার। পাচ প্রকার বৃত্তি অপৰার জুই ভাগে বিভক্ত। এক ক্লিষ্ট, আর অক্লিষ্ট রাগ, দ্বেষ, কাম, ক্রোধ প্রভৃত্তি আখ্যাযুক্ত বৃত্তি গুলি ক্লেশদায়ক বলিয়া ক্লিষ্ট, আর শ্রদ্ধা, ভক্তি, করুণ, মৈত্রী ও বৈরাগ্য প্রভৃতি বৃত্তিগুলি সুখের কারণ বলিয়া অক্লিষ্ট । যোগী কিন্তু বলেন,—ক্লিষ্ট বা অক্লিষ্ট উভয় বৃত্তিই বন্ধনের কারণ,— অতএব বৃত্তিমাত্রকেই নিরুদ্ধ করিতে হয় । প্রমাণ-বিপর্য্যয়-বিকল্প-নিদ্রা-স্মৃতয়: । প্রমাণ, বিপৰ্য্যয়, বিকল্প, নিদ্রা ও স্মৃতি, এই পাচ প্রকার বৃত্তি। ' প্রত্যক্ষণকুমানাগমণ: প্রমাণানি ॥ প্রমাণ তিন প্রকার—প্রত্যক্ষ, অমুমান ও আগম । প্রত্যঙ্গ অর্থে সাক্ষাৎ অনুভব । চক্ষু-কর্ণের ভ্রম না ঘটিলে, আমরা যাহা দেখি, শুনি বা অমুভব করি, তাহাই প্রত্যক্ষ । প্রত্যক্ষ বস্তু দ্বারা তাহার সহচর বস্তুর জ্ঞানকে অনুমান বলে, যেমন গন্ধদ্বারা গোলাপের প্রতীতি । আগম অর্থে আপ্তবাক্য বলা যাইতে পারে । যোগী বা ঋষিগণ প্রকৃত সত্য দর্শন করিয়া যাহা বলিয়াছেন । প্রমাণের প্রয়োজন কি ? প্রয়োজন আছে । জীবের অস্তঃকরণ বাহাবস্তুর সহিত মিলিত হইলে তদাকার প্রাপ্ত হয়,—ইহাকে জ্ঞান বলে । এই জ্ঞানকেই যোগিগণ বৃত্তি আখ্যা প্রদান করিয়াছেন । এখন এই বস্তুগত্য জ্ঞান সৰ্ব্বত্র স্বরূপজ্ঞান নহে । রজ্জতে সম্বন্ধ হইয়া অনেক স্থলে সৰ্প বলিয়া জ্ঞান জন্মে, ইহা মিথ্যা জ্ঞান । মনোবৃত্তিসকল অবলম্বিত বস্তুর অবিকল সাদৃশ্যে উৎপন্ন হইলেই তাহা সত্য জ্ঞান বলিয়া কথিত হয় । আর বিপরীত ভাবে উৎপন্ধ হইলে তাহা মিথ্য জ্ঞান বলিয়া ধরিতে হইবে । ,