পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ট্রোগতত্ত্ব বারিবি l ৩২৭ আমাদের চিত্তভূমিতে পড়িয়া যায়,—ইহাকেই সংস্কার বলে । এই সংস্কার-তরঙ্গপরম্পরা জাগ্রদবস্থায় স্মৃতি এবং নিদ্রাবস্থায় স্বপ্ন । এখন চিত্ত ও চিত্তবৃত্তি কি, তাহা বুঝিতে পারা. গেল এবং আরও বুৰিতে পারা গেল যে, চিত্তের ঐ বৃত্তি সমুদয়ের নিরোধই যোগ ; কিন্তু এখন জানিতে হইবে, নিরোধের উপায় কি ? উপায় যোগসাধনা । কিন্তু কি প্রকারে তাহা করিতে হইবে ? উপায় বা পন্থা অনেক মাছে । একে একে উক্ত হইতেছে । অভ্যাস-বৈরাগ্যাভ্যাং তন্নিরোধঃ ॥ অভ্যাস এবং বৈরাগ্যদ্বারা বৃত্তি নিরুদ্ধ হয় । অভ্যাস কি ? দৃঢ়তাসহকারে এক কার্য্যের পুন:পুন: অনুষ্ঠানকে অভ্যাস বলা যাইতে পারে। অর্জুন, যোগীশ্বর শ্ৰীকৃষ্ণমুখে যোগের কথা শুনিয়া এই প্রশ্নই করিয়াছিলেন । অৰ্জুন বলিয়াছিলেন,— যোহয়ং যোগস্বয়া প্রোক্ত: সাম্যেন মধুসুদন ! । এতস্যাহং ন পশু্যামি চঞ্চলত্বাৎ স্থিতিং স্থিরণম্ ॥ হে মধুসূদন ! তুমি আত্মার সমতারূপ যে ষোগের কথা উল্লেখ করিলে, মনের চঞ্চলতা নিবন্ধন আমি ইহার দীর্ঘকাল স্থায়িত্ব দেখিতেছি না । কেননা,— চঞ্চলং হি মন: কৃষ্ণ ! প্রমাথি বলবদ্বড়ম্। অস্তাহং লিগ্ৰহং মন্তে বাস্লোরিব মুছুক্ষরম্ ॥ মন স্বভাবতঃ চঞ্চল, ইন্দ্রিয়গণের ক্ষোভকর, অজেয় ও ছর্ভেদ্য – যেমন বায়ুকে নিরুদ্ধ করা অতি কঠিন, মনকে নিগৃহীত করাও সেইরূপ হুষ্কর ।