পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোগতত্ত্ব-বপরিধি । ‘ථාදා) পুরুষের গুণ কি ? l, রজঃ ও তমঃ । এই তিন গুণ এই ৰহি জগতে আকর্ষণ, বিকর্ষণ ও উহাদের মধ্যে সামঞ্জস্ত এই ত্রিবিধ ভাৰে প্রকাশ পায়। আমরা আমাদের চক্ষুতে যাহা কিছু দেখিতে পাই, সমুদয়ই এই তিন শক্তির সমবায়ে সমুৎপন্ন। কেবল মানবাত্মা ইহার বাহিরে—তিনি পুরুষ, নিত্যশুদ্ধ, নিত্যবুদ্ধ ও পুবাণ । তবে প্রকৃতিতে যে চৈতন্তের বিকাশ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহণও তাহার প্রতিবিম্ব মাত্র । প্রকৃতি নিজে জড়া । মনও প্রকৃতি হইতে অভিন্ন, কাজেই মনও জড় । আমাদের চিন্তা ও প্রকৃতির অস্তগত । প্রকৃতিই মামুষের অণাত্মাকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে । প্রকৃতির । আবরণ সরাইয়া দিতে পারিলেই আত্মা প্রকাশিত হন । এরূপ হইলে আত্মা অণর গুণে অণকৃষ্ট হন না,—তখন তিনি স্বমহিমায় প্রকাশিত । বিতর্কবিচারানন্দাস্মিতা সুগমণত সম্প্রজ্ঞাতঃ ॥ সম্প্রজ্ঞাত সমাধি বিতর্ক, বিচার, অগনন্দ ও অস্মিতা এই চারি প্রকারে বিভক্ত । 暈 সমাধি দুই প্রকার, এক সম্প্রজ্ঞাত, আর অসম্প্রজ্ঞাত । সমাধিই যোগের চরম লক্ষ্য । সমাধিটি পদার্থ কি, তাহা যোগসাধনেচ্ছু ব্যক্তির বিশেষ প্রকারে জানা অবশ্যক । এস্থলে একজন দাশনিক পণ্ডিত এবং একজন যোগী এই সমাধি শব্দের যেরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা পাঠ করিতেছি। কারণ, এই শব্দটির উপরে সমস্ত যোগের উদ্দেশ্য ও অবস্থা নির্ভর করিতেছে । “এক বস্তু বিষয়ক তীব্র ভাবনা বা উৎকট চিন্তা প্রয়োগের নাম যোগ ও সুমাধি ( সৰ্ব্ববৃত্তি নিরোধ অর্থাৎ চিত্তের নিরালম্ব অবস্থাও যোগ ও সমাধি শেষোক্ত সমাধির প্রথমাবস্থায় ভাব্য পদাখের ■*