পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSSు যোগতত্ত্ব-বারিধি । প্রদেশে চৈতন্ত-ঘন পুরুষ রহিয়াছেন । ੋ প্রকৃত শক্তি । কোন বস্তুর জ্ঞানলাভ হইলেই আমরা উহার উপর ক্ষমতা লাভ করি । এইরূপে যখনই আমাদের মন এই সমুদয় ভিন্ন ভিন্ন বিষয় ধ্যান করিতে থাকে, তখন উহাদের উপর ক্ষমতা লাভ করিবে না কেন ? যে প্রকার সমাধিতে বাহিক স্থূল ভূতগণই ধ্যেয় হয়, তাহাকে সৰিতর্ক বলে । তর্ক অর্থে—প্রশ্ন—সবিতর্ক অর্থে প্রশ্নের সহিত । যাহাতে ভূত-সমূহ উহাদের অন্তর্গত সত্য ও উহাদের সমুদয় শক্তি ঐক্লপ ধ্যানপরায়ণ পুরুষকে প্রদান করে, এই জন্য ভৃত গুলিকে প্রশ্ন করা, তাহণকেই সবিতর্ক বলে । কিন্তু শক্তিলাভ করিলেই মুক্তিলাভ হয় না । উহ। কেবল ভোগের জন্য চেষ্টা মাত্র । আর এই জীবনে প্রকৃত ভোগসুখ হইতেই পারে না । কারণ, বাসন। কখন তৃপ্ত হয় না । সুতরাং ভোগ-সুখের অন্বেষণ বৃথা । মানুষ এই অতি প্রাচীন উপদেশ মতে কার্য্য করিতে পারে না, কারণ, তাহার পক্ষে ইহা অত্যস্ত কঠিন বোধ হয় । কিন্তু যখন সে এই বিষয় বিশেষরূপে বুঝিতে পারে, তখন সে জড়জগতের অতীত হইয়া মুক্ত হইয়া যায় । যে গুলিকে সাধারণতঃ গুহ্যশক্তি বলে, তাহা লাভ করিলে ভোগের বৃদ্ধি হয় মাত্র, কিন্তু পরিশেষে তাহ হইতে আবার যন্ত্রণারও বুদ্ধি হয় । অবশু বিজ্ঞানের চক্ষে দৃষ্টি করিয়া পতঞ্জলি এই গুহা-শক্তি লাভের সম্ভাবনা স্বীকার করিয়াছেন । কিন্তু তিনি এই সমুদয় শক্তির প্রলোড়ন হইতে আমাদিগকে সাবধান করিয়া দিতে ভুলেন নাই । 4 আবার সেই ধ্যানেই যখন ঐ ভূতগুলিকে দেশ ও কাল হইতে পৃথক করিয়া উহাদিগের স্বরূপ চিন্তা করা যায়, তখন সেই সমাধিকে নির্বিতর্ক সমাধি বলে । যখন এই ধ্যান আবার এক সোপাল, অগ্রসর হুইয়া যায়, যখন তন্মাত্রগুলিকে দেশ-কালের অন্তর্গত বলিয়া চিত্ত করা