পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । vS)ტ· ° প্রকাশিত হয় । সমুদয় জগৎ এই প্রাণ ও আকাশের সমষ্টি । মহুষ্যদেহও ঐরূপ ; যাহা কিছু দেখিতেছ বা অনুভব করিতেছ, সমুদয় পদার্থ ই অণকাশ হইতেই উৎপন্ন হইয়াছে.—অণর প্রাণ হইতেই সমুদয় বিভিন্ন শক্তি উৎপন্ন হইয়াছে । এই প্রাণকে বাহিরে ত্যাগ করা ও উহার ধারণ করার নাম প্রণণায়ণম | প্রাণ + অ + যম = প্রাণকে সম্যক সংযত অর্থাৎ ইচ্ছাস্বরূপ নিরোধ করণ। প্রাণ যদি ইচ্ছাধীন হয়, তাহা হইলে চিত্ত স্থির হইয়া যায় । অতএব প্রাণায়ণম চিত্ত স্থির করিবার এক সহজ উপায় । আরও এক উপায় আছে,— বিষয়বর্তী বা প্রবৃত্তিরুৎপন্ন মনসঃ স্থিতিনিবন্ধিনী ॥ বিষয়বর্তী প্রবৃত্তি অর্থাৎ কতকগুলি অলৌকিক ইন্দ্রিয় , বিষয়ে অনুভূতি জন্মিলেও চিত্ত স্থির হয় । 轟 যোগিগণ এই সাধনা করিতে প্রথমে দেহের উপরে সংযম শিক্ষণ করেন । নাসা েগ্র চিত্ত সংযম করিলে দিব্যগন্ধ অনুভূতি হয় । জিহবাগ্রে চিত্ত সংযম করিলে দিব্য রসাস্বাদ পাওয়া যায় । এইরূপ এক একস্থলে চিত্ত সংযম করিলে এক একরূপ দিব্যভাব অনুভূত হয় । তাহতে যোগের উপর ও যোগফলে দৃঢ বিশ্বাস জন্মে এবং কাজেই চিত্ত স্থির হয় ও সূক্ষ্ম হইতে স্বৰ্ম্মতত্ত্বে একাগ্রতা জন্মে । மு বিশেণকা বা জ্যোতিষ্মতী ॥ হৃৎপদ্মমধ্যে রেচক প্রাণায়াম করিয়া তাহার অন্তরালে চিত্তধারণ করিবে, অর্থাৎ রেচক প্রাণায়াম করিয়া হৃৎপদ্মের ধ্যান করিবে, তাহা হইলে একপ্রকার জ্যোতিঃ বা অতুল্য আলোকের অনুভূতি হইবে } এই'আলোক বিষয়-শোক নিবারণ করে বলিয়া ইহার নাম বিশেকা ,