পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ማ8 যোগতত্ত্ব-বারিধি । CT AMTTAAAS SSAAAASSSS S S জাতি, দেশ ও অবস্থাভেদে অনুষ্ঠান করিবে । অর্থাৎ অবস্থাবিশেষে ব্যবস্থা করিবে । এখন নিয়ম কি ? শৌচসন্তোষতপ:স্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধাননি নিয়মাঃ ॥ বাহ ও অন্তঃশৌচ, সন্তোষ, তপস্যা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বরোপাসনা এই গুলিকে নিয়ম বলে । বাহাশৌচ অর্থে দেহকে শুচি রাখা । তদৰ্থে শাস্ত্রবিধিমতে স্নান, বস্ত্র-পরিধান, আহার ও গমনাদি করিবে । অন্ত:শৌচ অর্থে চিত্তশুদ্ধি । চিত্তশুদ্ধির জন্য পূৰ্ব্বে যে সকল কথা বলা হইয়াছে, তাহার অনুষ্ঠান করিবে । সন্তোষ—পরিতৃপ্তি । অাশা বা লালসা দমনই পরিতৃপ্তির উপায় । অভ্যাস দ্বারা—ত্যাগ দ্বারা ইহা দৃঢ় হয় । তপস্যা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর প্রণিধানের কথ। পূর্বে বলা হইয়াছে । একটি একটি করিয়া এই গুলির অভ্যাস করিবে । যখন শৌচ, সস্তোষ, তপস্তা, স্বাধTণয় ও ঈশ্বর প্রণিধান, এইগুলি দৃঢ় অভ্যাস হইবে, তখনই নিয়ম-সাধন সিদ্ধি হইবে । সোজা কথায় বলা হইল, এই গুলি অভ্যাস করিবে । হিংসা করা, দ্বেষ করা, চুরি করা, দান গ্রহণ করা ভাল নহে, তাহা সবাই জানে । শারীরিক ও মানসিক শুচি, তপস্যা, ঈশ্বরোপাসনা করা, এ সকল ভাল কাজ, তাহাও লোকে জানে । কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত গুলির ত্যাগ বা পরবর্তী গুলির গ্রহণ করিতে পারে না কেন ? অজ্ঞানতার জন্য । যদি জ্ঞান হয়, তথাপি সাধনে সক্ষম হয় না কেন ? দৃঢ়তা আসে না বলিয়া । কিন্তু তথাপি যে প্রকারে ঐ সাধনে সিদ্ধিলাভ করা যায়, তাহার একটি দার্শনিক ভিত্তি থাক চাই । তাহা আছে,-– '