পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিবি । ●ሜ?» প্রকৃতির গতাগতি যোগশাস্ত্রোক্ত ৰিধি অনুসারে স্ব-ইচ্ছায় প্রচলিভ কৰা ষায় না । এখন প্রাণায়ামের কথা । তস্মিন সতি শ্বাস-প্রশ্বাসয়োগতিবিচ্ছেদ প্রাণারামঃ ॥ আসন অভ্যাসের পরে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ভঙ্গ করিয়া সেই স্বাস প্রশ্বাসকে শাস্ত্রসম্মত নিয়মের অধীন করা বা স্থানবিশেষে বিধৃত করাকে প্রাণশয়াম বলে । প্রাণায়ামের খুব সোজা অর্থ এই যে, দেহস্থিত জীবনীশক্তিকে বশে আনা । পূর্বেই বলিয়াছি, শ্বাস-প্রশ্বাসকে যদিও সচরাচর প্রাণ বলা হয়, কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসই ঠিক প্রাণ নহে । প্রাণ অর্থে জাগতিক সমুদয় শক্তিসমষ্টি । উহা প্রত্যেক ব্যক্তিতেই অবস্থিত । উহার আপাত-প্রতীয়মান প্রকাশ —এই ফুসফুসের গতি । প্রাণ যখন শ্বাসকে ভিতর দিকে অাকর্ষণ করে, তখনই এই গতি আরম্ভ হয় । প্রাণারাষে # উহারই সংযম হয় । প্রাণের উপর শক্তিলাভ করিতে হইলে,—এই শ্বাস-প্রশ্বাসকে সংযম করিতে হয়—তাহাই প্রাণায়াম দ্বারা সাধিত্ব হয়, এবং উহাই প্রাণ-জয়ের সর্বাপেক্ষা প্রকৃষ্ট ও সহজ উপাস । স বাহ্যাভ্যন্তরস্তম্ভবৃত্তিঃ দেশকালসংখ্যাভি: পরিদৃষ্টো দীর্ঘ স্বক্ষঃ ॥ প্রাণায়াম ত্ৰিবিধ প্রকারের । বাহাবৃত্তি, অভ্যস্তর বৃত্তি ও স্তম্ভবৃত্তি । দেশ, কাল ও সংখ্যাদ্ধার দীর্ঘ ও স্বাক্ষরূপে সিদ্ধ হইতে দেখা যায় । টীকাকার ফলেন,— * রেচনেন বহির্গতস্ত কৌষ্ঠন্ত বায়োবর্ণহরের ধারণং বাহাবৃত্তি:ৰ্ণ অর্থ—ঔদৰ্য্যবায়ুকে বাহির করিয়া দিয়া অর্থাৎ শাস্ত্রোক্ত নিয়মে শ্বাস পরিত্যাগ করিয়া তাহণকে বাহিরে স্থাপন করার নাম ৰাহৰুত্তি । এই বান্ধবৃত্তির চলিত নায রেচক ৭