পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । 8 • Ө কিম্বা সমান উত্তরাভিমুখে সমগ্ৰীবশিরঃকায় হইয়া অণস্য সংযত এবং শরীর নিশ্চল ভাবে রাখিবে । দৃষ্টি যেন মনের সহিত নাসাথে বন্ধ থাকে । এইরূপ ভাবে যোগভ্যাস করিবে । যোগচতুষ্টয় ও সাধক চতুষ্টয়,-- পূৰ্ব্বে হঠযোগ, লয়যোগ, মন্ত্রযোগ ও রাজযোগ এই চারিপ্রকায় যোগের কথা বলা হইয়াছে, এখন জিজ্ঞাস্য হইতে পারে, কোন ব্যক্তি কোন যোগ অভ্যাস করিবে। এ উপদেশ গুরুর নিকটে গ্রহণ করিতে হয়, সেকথাও পূৰ্ব্বে বলিয়াছি । সাধকের অবস্থার উপরে এ ব্যবস্থা নির্ভর করে । এস্থলে শাস্ত্রোক্ত বিধি যাহা, তাহ। বলা যাইতেছে । চতুধর্ণ সাধকো জ্ঞেয়ো মুহূমধ্যাধিমাজিক: 1 অধিমাত্র তমঃ শ্রেষ্ঠে ভবান্ধেী লঙ্ঘনক্ষমঃ ॥ যোগ যেরূপ চারি প্রকার, সাধক ও সেইরূপ চতুবিধ। যথা— মুছ সাধক, মধ্য সাধক, অধিমাত্র সাধক ও অধিমাত্রতম সাধক । এই চতুৰ্ব্বিধ সাধকের মধ্যে অধিমাত্র তম সাধকই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ও ত্বরাষ্ট্র ভবসাগর লঙ্ঘনে সম্পূর্ণ সক্ষম । মৃদুসাধক,— মন্দোৎসাহী স্বসংমূঢ়ো ব্যাধিস্থে গুরুদূষক । লোভী পাপমতিশ্চৈব বহাশী বনিত ভয় । চপলঃ কাতরো রোগী পরাধীনেশক তিনিষ্ঠুরঃ । মন্দাচারে মন্দবীৰ্য্যো জ্ঞাতৰো মৃদুসাধক: । স্বাদশাদে ভবেৎ সিদ্ধিরেতস্ত যত্নতঃ পরম । মন্থযোগাপিকারী স ভাতবো গুরুণা ধুবম্ ॥