পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ যোগতত্ত্ব-বারিধি । নবনীতং কৄতং ক্ষীরং দধি-তক্র-মুনি চ | দ্রাক্ষীরসঞ্চ পীযুষং জায়তে রসনোদকম্ ॥ জিহবার নিম্নভাগে জিহামূল ও জিহবা এই দুইটিকে সংযুক্ত করতঃ যে নাডী আছে, তাহা ছেদন করিয়া সৰ্ব্বদা রসনার নীচে রসনার অগ্রদেশকে পরিচালিত করিবে । আর জিহবাকে নবনীত দ্বারা দোহন করতঃ লৌহময়ী লেখনী দ্বারা জিহবা কর্ষণ করিতে হইবে । প্রতিদিন এই প্রকার করিলে জিহবা দীর্ঘতা প্রাপ্ত হয় । ক্রমে ত্র মে আভ্যাস দ্বারা রসনাকে এইরূপ লম্বিত করিবে যে, উহা অনায়াসে ভ্রম্বয়ের মধ্যস্থল স্পর্শ করিতে পারে । জিহবাকে ক্রমে ক্রমে তালুমুত্ত্ব-মধ্যে লইয়া যাইবে । তালুদেশের মধ্যস্থ গহবরকেই কপালকুহর বলে । জিহাকে ঐ কপালকুহরের মধ্যে উদ্ধৃদিকে বিপরীতভাবে প্রবেশিত করাইয়া ক্রযুগলের মধ্যভাগ নিরীক্ষণ করিবে । ইহাকেই থেচরীমুদ্রা বলে । এই থেচরীমুদ্র র অভ্যাস করিলে, মূৰ্ছা, ক্ষুধা বা তৃষ্ণ নিবারণ হয় । অর্থাৎ সেই সাধককে ক্লেশ প্রদান করিতে পারে না । আলস্তও র্তাহার শরীরে স্থান পায় না । রোগ জরা এবং মরণ র্তাহাকে আক্রমণ করে না । তিনি মুরদেহ-সদৃশ দেহ প্রাপ্ত হয়েন । যিনি থেচরীমুদ্রার অভ্যাস করেন, অগ্নিদ্বারা তিনি দগ্ধ হয়েন না, বায়ু কর্তৃক শুষ্ক বা জলদ্বারা অাদ্র হন না এবং সপেও তাহাকে দংশন করিতে পারে না । C থেচরী মুদ্রার সাধনে সাধকের দেহে অপূৰ্ব্ব লাৰণ্য সমুদিত হইয়া থাকে এবং সমাধিলাভে সামর্থ্য জন্মে । কপাল ও মুখ এই দুইটির মিলনে তাহার জিহবায় নানারূপ অনুত্তম রসের সঞ্চার হয় । যিনি এই থেচরীমুদ্রার অঙ্গুষ্ঠান করেন, তাহার রসনায় অহরহ অদ্ভুত রসের সঞ্চার’হয় এবং তাহার চিত্তমধ্যে অম্বুদিন আনন্দধারা প্রবাহিত থাকে ।