পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । প্রত্যাহার । শিষ্য । এক্ষণে হঠযোগের প্রত্যাহার কিরূপে অভ্যাস করিতে হয়, তাহা বলুন ? গুরু । হঠশাস্ত্র বলেন,— অথণত: সংপ্রবক্ষ্যামি প্রত্যাহারমমুক্তমম্। যস্ত বিজ্ঞানমাত্রেণ কণমাদিরিপুনাশনম্। ততস্ততে নিয়ম্যৈতদাত্মন্সেব বশং নয়েৎ ॥ পুরস্কারং তিরস্কণরং সুশ্রাব্যং ভাবমণয়কং | মনস্তস্মান্নিয়ম্যৈতদাত্মন্যের বশং নয়েৎ ॥ স্বগন্ধে বাপি দুর্গন্ধে ব্ৰাণেষু জায়তে মন: । তস্মাৎ প্রত্যাহরেদেতদাত্মন্ত্যেব বশং নয়েৎ ॥ মধুরামকতিক্তাদিরসগাদি যদা মন: । তস্মাৎ প্রত্যাহরে দেতদাত্মন্যে ব বশং নয়েৎ ॥ প্রত্যাহার সাধনের কথা বলা যাইতেছে। ইহা সাধন করিয়া কণমাদি বড় রিপু দমন করা যায় । মনকে বিষয় হইতে প্রতিনিবৃত্ত করিয়া স্বরূপাবস্থায় রাখার নাম প্রত্যাহার। কি পুরস্কার, কি তিরস্কার, কি স্বপ্রাব্য, কি অশ্রাব্য, সৰ্ব্ববিষয় হইতে এতৎপ্রভাবে চিত্তকে প্রতিনিবৃত্ত ‘করিয়া স্বরূপাবস্থায় রাখিবে । সুগন্ধ বা দুৰ্গন্ধ যাহাতেই মন ধবিত হউক, প্রত্যাহার-প্রভাবে তাহাকে স্বরূপাবস্থায় রাখিবে । মধুর, অম, তিক্ত বা কষায় যে কোন রসেই মন ধাবিত হউক, ইহার প্রভাবে ভদ্ধিষয় হইতে মনকে বশে অনিয়ন করিয়া স্বরূপণবস্থায় রাখিবে ।