পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ যোগবশিষ্ঠ। তাৎপর্ব —জল্যুহ বাহতে থাকে তাহার নাম সমুদ্র, সুতরাং জন্মৰূপ জল সমুহ পরিপূর্ণ সংসার সমুদ্র ইহার মধ্যে তুষ্ণরূপ গম্বর আছে, যাহাকে দহ বলে, যথায় শ্রোতবেগ বড় থাকে না, তথায় পঙ্কনগ্ন প্রসুপ্ত কচ্ছপের ন্যায় এই দেহের অবস্থিতি, মুঢ়লোকে ইহাতে নিস্তীর্ণ হইবার উপায় মাত্র করে না, অর্থাৎ সদগুরুর নিকট উপদেশ পাইবার নিমিত্ত প্রশ্নমাত্র করিতে চাহে না, ফলিতাৰ্থ কচ্ছপ যেমন পঙ্কমধ্যশায়ী হইয়া পন্ধাস্বাদন মাত্র করে, তদ্বৎ বিমুগ্ধ মানবগণেরও অবশীকৃত ইন্দ্রিয় দ্বারা জন্মসমুদ্র মধ্যে অবস্থিত হইয়া তৎ পঙ্কস্বরূপ বিযয়রসের আস্বাদনেই নগ্নীভূত হইয়া রহিয়াছে । ৪৬ ৷ অনন্তর দাহ কাঠের সহিত দেহের দ্বষ্টান্ত দিয়া খ্রীরামচন্দ্র মুনিবর কৌশিককে কহিড়েছেন অর্থে শ্লোক উক্ত হইয়াছে। ভূ-(দহনৈকার্থেত)। দহনৈকর্য যোগ্যানি কায়কাষ্ঠানি ভূরিশঃ। সংসারাবাবিহোস্থন্তে কঞ্চিত্তেষু নরং বিছুঃ ।। ৪৭ ৷৷ দহনমেবৈকার্থীমুখ্য প্রয়োজনং তদেযাগ্যানি তেযুতেষাং মধ্যে || ৪৭ ৷৷

  • অস্যার্থঃ ।

¿o e হে ঋষিশার্দ ল ! এই জীবদেহ সকল অগ্নিতে দহন যোগ্য কাঠের ন্যায় জন্ম সংসার সাগরজলে কেবল নিয়ত ভাসমান হইতেছে, তাহার মধ্যে কোন কোন দেহকে সুধীজনের মানব বলিয়া জানেন । ৪৭ ৷৷ তাৎপর্যা —এই দেহ নাশ্বাপদাৰ্থ সুতরাং অগ্নিদাহ কাঠ বলিয়া তুচ্ছাকৃত করিয়াছেন, তবে মানব বলিয়া পণ্ডিতেরা কাহাকেও যে জানিয়াছেন, তাহার এই অভিপ্রায়, যে (দুঃখোপকারং সচ্চৰ্চাজ্ঞানং যত্ৰনত স্বরমিতি) যে দেহের দ্বারা পরোপকার হয়, এবং সদমুশীলন, অর্থাৎ আত্মবন্ধ মোক্ষেপায়, আর অধ্যাত্মতত্ত্বজ্ঞানেদয় হয়, সেই দেহই নরদেহ, ইহা পণ্ডিতেরা গণা করিয়া থাকেন। ইত্যভিপ্রায়ঃ ৷৷ ৪৭ ৷৷ অনন্তর বিবেকীর যে কারণ, দেহে আস্থানাই তৎকারণ প্রকাশ করিয়া রঘুবর মুনিবর কৌশিককে কহিতেছেন। যথা –(দীর্ঘদেীরাত্মোতি ।) দীর্ঘদৌরাত্ম্য বলয় নিপাতফলপুতয় । নদেহলতয়াকার্য্যং কিঞ্চিদস্তি বিবেকিনঃ ॥ ৪৮ ।